ঢাকা
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

স্বপ্নের ট্রফি জয়ের লড়াইয়ে দ. আফ্রিকার সামনে ভারত

আপডেট : ২৯ জুন ২০২৪, ১১:৫৯ এএম

এক মাস ধরে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট আজ ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে। শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাত মাস ব্যবধানে ভারত আবার ফাইনালে। গত বছরের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে তারা। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত সাড়ে আটটায় ব্রিজটাউনে শুরু হবে শিরোপা জয়ের এ লড়াই।

শিরোপা লড়াইয়ে নামার আগে উভয় দলের মাঝে ব্যাপক অমিল। দক্ষিণ আফ্রিকার এটা প্রথম ফাইনাল। স্বাভাবিকভাবেই তারা শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়নি। ভারতের এটা তৃতীয় ফাইনাল। একবার তারা শিরোপা জয় করেছে। তবে দুই দলের মধ্যে একটা মিল রয়েছে। অপরাজিত দল হিসেবে উভয়ে ফাইনালে উঠেছে। উভয়ে গ্রুপ পর্বে নিজ নিজ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সুপার এইটেও তাদের পথ চলা ছিল অভিন্ন। সেমিতে ভারত ইংল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করেছে। আফগানিস্তান বিধ্বস্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।

উভয় দল শিরোপা জয়ের জন্য মরিয়া। বিশ্বকাপের সব টুর্নামেন্টে শক্তিশালী দল নিয়ে হাজির হলেও এ পর্যন্ত কোনো টুর্নামেন্টেই শেষ হাসি হাসতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটসহ বিশ্বকাপে একাধিক ট্রফি জয় করলেও দীর্ঘদিন বিশ্বকাপের খরায় ভুগছে ভারত। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর তারা আর বিশ্বকাপ জয় করেনি। এর মাঝে অবশ্য ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করেছে দেশটি।

এই ট্রফি খরা ঘোঁচানোর সামর্থ্য বর্তমান দলটির ভালোভাবে রয়েছে। দলটির অধিনায়ক রোহিত শর্মা ব্যাট হাতে যথেষ্ঠ ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার এইট ম্যাচে ৯২ রানসহ ২৪৮ রান করেছেন তিনি। মিডল অর্ডারে সূর্যকুমার যাদব রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। তবে দলটির সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলির ফর্ম তাদেরকে দুঃশ্চিন্তায় রেখেছে।

ভারতের বোলিং লাইনও রয়েছে ফর্মে। আর্শদ্বীপ সিং ১৫ উইকেট পেয়েছেন। জসপ্রিত বুমরা ১৩ উইকেট পেলেও ব্যাটারদের সামনে নিজেকে দুর্বোধ্য হিসেবে তুলে ধরেছেন।

ভারত যখন ট্রফি খরা ঘোঁচানোর পরিকল্পনায় ব্যস্ত তখন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ট্রফি জয়ের পরিকল্পনায় ব্যস্ত। কুইন্টন ডি কক ব্যাট হাতে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন, আর আনরিখ নরকিয়া ও কাগিসো রাবাদা দলকে উদ্ধার করে চলেছেন।

আজকের ম্যাচের ভেন্যুর সঙ্গে ভারতের বেশ পরিচয় রয়েছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিল তারা। দক্ষিণ আফ্রিকা এ ভেন্যুতে নতুন। এ ভেন্যুতে বেশির ভাগ ম্যাচে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। একটা মাত্র ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে, যা শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে শেষ হয়। এখানে আগে ব্যাট করা দলের সাফল্যের হার বেশি যা ঐতিহাসিভাবে স্বীকৃত। ব্যাটার জন্য স্বস্তিদায়ক। সে সঙ্গে পেসাররা আধিপত্য করলেও স্পিনারদের জন্য বেশ অস্বস্তি বয়ে আনে।

টি-টোয়েন্টির মুখোমুখি লড়াইয়ে আধিপত্য ভারতের। ২৬ ম্যাচের ১৪টিতে জয় ভারতের, এগারটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ হাসি হেসেছে। একটা ম্যাচে কোনো ফল হয়নি।

একটা বিষয় পরিস্কার যারা ট্রফি জিতবে তারাই নতুন ইতিহাস গড়বে। কেননা কোনো অপরাজিত দল এ পর্যন্ত টি-২০ বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এবার তাই হতে যাচ্ছে।

AHA/FI