ঘরের মাঠে অপরাজিত থাকার তমকাটা বেশ ভালোভাবেই নিজেদের করে নিয়েছিল ভারত। সর্বশেষ ২০১২ সালে তারা নিজেদের দেশে টেস্ট সিরিজে হেরেছিল। একযুগ ব্যবধানে আবার তারা ঘরের মাঠে সিরিজ হেরেছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) নিউজিল্যান্ডের কাছে দ্বিতীয় টেস্টে হারের মাঝ দিয়ে তাদের সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছে। পুনেতে মাত্র তৃতীয় দিনেই দ্বিতীয় টেস্টে হেরে যায় ভারত। ১১৩ রানে জয় পেয়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। এ জয়ের মাঝ দিয়ে নিউজিল্যান্ড তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল। আগামী ১ নভেম্বর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে।
এদিকে ৬৯ বছরে ১৩বারের চেষ্টায় প্রথমবারের মতো ভারতের মাটিতে ভারতকে হারালো নিউজিল্যান্ড। আর এ সিরিজ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। অথচ স্যান্টনারের টেস্ট ক্যারিয়ারটা উজ্জ্বল তা মোটেও বলা যাবে না। ক্যারিয়ারে কখনো ইনিংসে তিন উইকেটের বেশি পাননি। ম্যাচে উইকেটের সংখ্যা কখনো ছয়ে রূপ দিতে পারেননি। কিন্তু পুনেতে যা করেছেন তা সবার চোখ বিস্ময়ে হা হয়ে যাবার অবস্থা। ভারতীয় ব্যাটারদের তো বটেই। ম্যাচ শেষেও তারা সেই বিষ্ময় কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। যে বোলার ম্যাচে কখনো ছয় উইকেটের দেখা পাননি সেই স্যান্টনার এবার নিয়েছেন ১৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তার শিকার ছয় ব্যাটার।
স্যান্টনার ১৫৭ রানে ১৩ উইকেট নিয়েছেন। ভারত সফরে আসা কোনো বোলারের তৃতীয় সেরা বোলিং এটি। স্যান্টনার দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯ ওভারে ৬ উইকেট শিকার করেন। আর প্রথম ইনিংসে ১৯.৩ ওভারে নিয়েছেন ৭ উইকেট।
৩৫৯ রানের লক্ষ্য ছিল ভারতের সামনে। কিন্তু এত সহজে যে তারা হাল ছেড়ে দেবে তা ইনিংসের শুরুতে বোঝা যায়নি। এক উইকেটে তারা ৯৬ রান সংগ্রহ করায় ম্যাচ নিয়ে স্বাগতিক সমর্থকরা আশাবাদী হয়ে উঠেছিল। যজস্বী জয়সাল ও শুভমান গিলের ব্যাটিং ক্রমেই নিউজিল্যান্ড বোলারদের হতাশ করে চলেছিল। কিন্তু এ ম্যাচে যে স্যান্টনার ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ফলে জয়সাল ও গিল যে প্রতিরোধ গড়েছিলেন তা আর টেকেনি। উভয়ই স্যান্টনারের বলে হাল ছাড়তে বাধ্য হন।
ভারতের শীর্ষ চার ব্যাটারাই স্যান্টনারের শিকারে পরিণত হন। পরে আরো দুটো উইকেট নেন স্যান্টনার। ভারতের বাকি চার উইকেটের দুটো নেন এজাজ প্যাটেল। একটা নেন গ্লেন ফিলিপস। অন্যটি ছিল রান আউট।
জয়শাল করেন সর্বোচ্চ রান। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৭ রান। এছাড়া রবীন্দ্র জাদেজা করেছিলেন ৪২ রান। ফলে বড় হার মেনে নিতে হয় ভারতকে।
