প্রথম সেশনের খেলা ২০ মিনিট বাড়িয়েও লাভ হয়নি। ৬ উইকেটে ১৭৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করা আয়ারল্যান্ড শুরুতেই দুই উইকেট হারালেও টেইলএন্ডারদের নিয়ে প্রতিরোধী জুটি গড়ার দায়িত্বই যেন নিয়েছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। গাভিন হোয়িকে নিয়ে ক্যাম্ফারের গড়া তেমনই এক জুটির কারণেই জয় থেকে ২ উইকেট দূরে থাকতেই লাঞ্চে যেতে হয় বাংলাদেশকে। মধ্যাহ্নবিরতির পরও এ জুটি বেশ ভুগিয়েছে টাইগারদের। তবে হার অবশেষে এড়াতে পারেনি সফরকারীরা। হাসান মুরাদের জোড়া আঘাতে শেষ পর্যন্ত ২১৭ রানের বিশাল জয় নিশ্চিত করেছে নাজমুল শান্তর দল।
এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে মুশফিকের শততম টেস্টও জয়েই রাঙাল বাংলাদেশ।
আয়ারল্যান্ড আজ পঞ্চম দিনের ব্যাটিংয়ে নামে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান নিয়ে। দিনের শুরুতেই অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। এরপর জর্ডান নিলের সঙ্গে জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন ক্যাম্ফার।
এ জুটি বিপদজনক হয়ে ওঠার আগেই ভাঙেন মেহেদী মিরাজ। মেহেদী মিরাজ। ৩০ রান করে সাজঘরে ফিরেন নিল। এদিকে একপ্রান্তে উইকেট পড়লেও অপরপ্রান্তে ভরসার প্রতীক হয়ে ছিলেন ক্যাম্ফার। টাইগার বোলারদের সামলে দলের সংগ্রহ বাড়াচ্ছিলেন তিনি।
নিলের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়া ক্যাম্ফার এরপর লাঞ্চের আগে ২৬ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন হোয়িকে নিয়ে। এ জুটিই লাঞ্চের পরও বেশ অনেকটা সময় টেনেছেন দলকে। শেষ পর্যন্ত দুজন মিলে গড়েছেন ৫৪ রানের জুটি। অনেক চেষ্টা করেও জুটি ভাঙতে পারছিলেন না তাইজুল-ইবাদতরা।
শেষ পর্যন্ত সফল হন মুরাদ। দলীয় ২৯১ রানে মুরাদের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে ফেরেন হোয়ি। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ১০৪ বলে ৩৭ রান। এরপরের বলেই আউট হন আইরিশদের শেষ ব্যাটার ম্যাথু হাম্ফ্রিস। শেষ পর্যন্ত ২৫৯ বল খেলে ৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্যাম্ফার। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন মুরাদ ও তাইজুল।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তাইজুলের অনন্য রেকর্ড