নেপাল থেকে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ সাফজয়ী নারী ফুটবল দল। এবারও ছাদখোলা বাসে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) যাবে চ্যাম্পিয়নরা। আজ বিকেলে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে দেখা করবেন সাফজয়ী সাবিনা-তহুরারা।
২০২২ সালে সাফজয়ীদের ছাদখোলা যে বাসে করে বরণ করা হয়েছিল এবারও সেই বাসেই বাফুফে’তে আসবেন সাবিনারা, তবে বাসের সেই দৃশ্যপট এবার ভিন্ন।
গতবারের দুটি বাসের ছবি দিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
ওই পোস্টে আসিফ লিখেছেন, ‘আগে বাসে কতকিছু থাকতো, এবার কেমন ফাঁকা ফাঁকা।’ পোস্টের শেষে অ্যাডমিন লেখাটি উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২২ সালে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ওই সময় মেয়েদের যে ছাদখোলা বাসে সম্মাননা দেওয়া হয় সেখানে দেখা যায়, জয়ী খেলোয়াড়দের মাথার ওপরে বল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছবিকেই বড় করে দেখানো হয়েছিল।
আর এবারের ছবিটিতে শুধু সাফজয়ী ফুটবলারদের ছবি রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে দেখা যায়, বাফুফের লোগো।

সাইয়েদ আবদুল্লাহ নামে এক জন তার ফেসবুকে দুটি ছবি পোস্ট করে লিখেন, ‘সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী বাংলাদেশের নারীদলকে বরণ করার জন্য তৈরি ছাদখোলা বাসের আয়োজনেও পার্থক্যটা দেখতে পারবেন! স্বৈরাচার এমনভাবেই জেঁকে বসেছিলো যে ফুটবলারদের বরণ করার বাসেও এভাবে নির্লজ্জভাবে ফুটবলারদের চেয়েও বড় করে তাদের ছবি এঁকে রাখতো!
বাস কিন্তু একই বিআরটিসির বাস, কিন্তু দেখেন তো কোনটা ক্ল্যাসি লাগছে বেশি? Just see the difference!

এ ছাড়ও, জাহিদ হাসান নামে একজন তার ফেসবুকে ছাদখোলা বাসের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ছাদখোলা বাস রেডি, কমতি কেবল উইসুফ সরকারের কারো ছবি নাই।’

রাজীব আহমেদ নামে একজন লিকেছেন, ‘এবারের ছাদখোলা বাস। আপার ছবি নেই। ইউনূস সাহেবের ছবিও নেই।
উল্লেখ্য, বুধবার স্বাগতিক নেপালকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা উৎসব করেছে লাল সবুজ বাহিনী। টানা দ্বিতীয়বার মর্যাদাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টের ট্রফি এলো ঘরে। অন্যভাবে বলা যায়, ট্রফিটা বাংলাদেশের ছিল বাংলাদেশরই রইলো।
