লা লিগা টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। মৌসুমের শেষভাগে এসে বড় দুঃসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ। জার্মান ডিফেন্ডার অ্যান্তোনিও রুডিগার হাঁটুর চোটে অন্তত দুই মাস মাঠের বাইরে থাকবেন। চোটের কারণে লা লিগার বাকি পাঁচ ম্যাচে আর খেলা হবে না রুডিগারের। এমনকি আগামী জুনে অনুষ্ঠেয় ক্লাব বিশ্বকাপেও তাঁর অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) অ্যান্তোনিও রুডিগার হাঁটুর সফল অস্ত্রোপচারের পর এমনটাই জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ও ইএসপিএনের সূত্র।
নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রুডিগার জানিয়ে দিয়েছেন, ক্লাব বিশ্বকাপ এবং জার্মানির হয়ে নেশন্স লিগে খেলার জন্য সময়মতো মাঠে ফেরার চেষ্টা করবেন।
তিনি লিখেছেন, ‘গত সাত মাস ধরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়েই খেলে যাচ্ছিলাম। শেষ পর্যন্ত মেনিসকাসে অস্ত্রোপচার ছাড়া উপায় ছিল না। এখন আমি ব্যথামুক্ত, সার্জারি সফল হয়েছে। সামনে দুটো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট, নেশন্স লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপ। আমি এখন সপ্তাহ ধরে দেখে-শুনে এগোচ্ছি, তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে দ্রুত মাঠে ফিরতে পারি।’
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রিয়াল মাদ্রিদ জানিয়েছে, ‘আজ আমাদের খেলোয়াড় অ্যান্তোনিও রুডিগারের বাম পায়ের মেনিসকাস ছিঁড়ে যাওয়ায় সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সার্জারি করেছেন ডাক্তার মানুয়েল লেইয়েস, ক্লাবের মেডিকেল টিমের তত্ত্বাবধানে। দ্রুতই সে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করবে।’
রুডিগার শনিবার বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রে ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়েন। পরে রেফারির দিকে বস্তু ছুঁড়ে মারেন এবং তাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়, যার ফলে ম্যাচের ১২০তম মিনিটে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন এই জার্মান ডিফেন্ডার। চোটের কারণে হাঁটুতে ভারী ব্যান্ডেজ বেঁধেই তিনি খেলে যাচ্ছিলেন। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রুডিগার নিজের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে লেখেন, ‘আমার আচরণের কোনো অজুহাত নেই।’
রেফারি রিকার্ডো ডে বুরগোস ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করেন, ‘বস্তু ছুঁড়ে মারার কারণে রুডিগারকে লাল কার্ড দেখানো হয়। পরে সে উত্তেজিত আচরণ দেখায় এবং টেকনিক্যাল স্টাফদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’ এই ঘটনার কারণে রুডিগারের ওপর কতদিনের নিষেধাজ্ঞা আসবে তা স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের শৃঙ্খলা কমিটি শিগগির জানাবে। তবে যে শাস্তিই আসুক না কেন, অস্ত্রোপচারের কারণে চলতি মৌসুমে আর খেলার সুযোগ থাকছে না তাঁর।
মৌসুমের শুরুতেই লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে গেছেন এদের মিলিতাও ও দানি কারভাহাল। কোপা দেল রে ফাইনালে ইনজুরি থেকে ফেরা ফেরল্যান্ড মেন্ডি মাত্র ৮ মিনিট মাঠে থেকে আবারো চোট পান। এদিকে মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, যিনি লেফট-ব্যাকেও খেলতে পারেন, গত সপ্তাহে গেটাফের বিপক্ষে ম্যাচে গুরুতর ইনজুরিতে পড়েছেন। সেও আর এই মৌসুমে ফিরছেন না।
বাকি পাঁচ ম্যাচের মধ্যে আগামী রোববার সেল্টা ভিগোকে আতিথ্য দেবে তারা। এরপর আবার ক্লাসিকো বার্সার মাঠে। ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে রিয়ালের প্রতিপক্ষ আল হিলাল, পাচুকা ও আরবি সালজবুর্গ। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ ১৮ জুন, মায়ামি শহরে, আল হিলালের বিপক্ষে। এখন দেখার বিষয়, ততদিনে রুডিগার ফিট হয়ে উঠতে পারেন কি না।
