ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

যেসব দেশে নেই সাপ, মশা কিংবা পোকামাকড়

আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম

বর্ষাকালে আমাদের চারপাশে সাপ, বিচ্ছুসহ নানা ধরনের পোকামাকড় দেখতে পাওয়া যায়। মশার মতো ছোট্ট পোকার কামড়েও আক্রান্ত হতে হয়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়াতে আক্রান্ত হতে হয় আমাদের। এসব উপকারী ও অপকারী পোকামাকড় বিহীন চারপাশ আমরা চিন্তাও করতে পারি না। তবে অবাক হওয়ার মতো বিষয় হচ্ছে, পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে কোনো সাপ, বিচ্ছু, মশাসহ অনেক পোকামাকড়ের অস্তিত্বই নেই। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, হাওয়াই, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার মতো শীতপ্রধান দেশ। কেন এই দেশগুলোতে সাপ ও অন্যান্য পোকামাকড়ের অস্তিত্ব নেই চলুন জেনে নেই-


আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ নরওয়ে, ডেনমার্ক, স্কটল্যান্ড এমনকি গ্রীনল্যান্ডেও যথেষ্ট মশা, সাপ ও পোকামাকড়ের উৎপাত আছে। নেই শুধু আইসল্যান্ডে। মূলত আইসল্যান্ডের হ্রদগুলো বছরে তিনবার পুরোপুরি বরফে পরিণত হয়। ফলে, আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খেয়ে বংশ বিস্তার করতে পারে না মশা, সাপসহ অনেক পোকামাকড়।

আরও মজার বিষয় হলো আইসল্যান্ডিক ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে মশার দেহাবশেষ সংরক্ষিত আছে। দ্য টেলিগ্রাফের মতে, অ্যান্টার্কটিকা এবং আইসল্যান্ড পৃথিবীর এমন দুটি অবস্থান যেখানে বিরক্তিকর কীটপতঙ্গ কখনো আবাস গড়তে পারেনি।

আয়ারল্যান্ড
আয়ারল্যান্ডে সাপ ও পোকামাকড় না থাকার কারণ হচ্ছে, আয়ারল্যান্ড একটি দ্বীপ। কাছাকাছি স্থলভূমির সাথে আইরিশ সমুদ্রের উপর দিয়ে এর দূরত্ব সর্বনিম্ন ৭০ কিলোমিটার। কোনো সাপের পক্ষে এতো দূরের পথ সাঁতরে পাড়ি দেওয়া সম্ভব না। সামুদ্রিক সাপের কথা অবশ্য ভিন্ন, তারা দীর্ঘসময় পানিতে থাকতে পারে এবং দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে পারে। কিন্তু সামুদ্রিক সাপের বসবাস উষ্ণ জলবায়ুর অঞ্চলগুলোতে। আয়ারল্যান্ডের বরফ-শীতল আটলান্টিক মহাসাগর তাদের বসবাসের জন্য উপযোগী না। 

নিউজিল্যান্ড
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই নিউজিল্যান্ড সাপমুক্ত। নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ মেরুর খুব কাছে অবস্থিত। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপের অভাব নেই। মজার বিষয় হল এই দেশের স্থলভাগকে ঘিরে থাকা সাগরে সাপের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে মূল ভূখণ্ডে কোনও সাপের প্রজাতি পাওয়া যায় না। এমনসব কারণেই হাওয়াই, গ্রিনল্যান্ডেও সাপসহ অন্যান্য পোকামাকড়ের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।

AHA/FI
আরও পড়ুন