ঢাকা
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আগামী সপ্তাহের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা দেয়া শুরু করতে পারে: গভর্নর

আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম

একীভূত হওয়া সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা আগামী সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দেয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, পাঁচ ব্যাংকের সংযুক্তি চলছে। ডিপোজিট গ্যারান্টি ১ লাখ থেকে ২ লাখে বাড়ানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহ বা আগামী সপ্তাহ থেকে অর্থ বিতরণ শুরু হতে পারে।

বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত ডলারের দাম আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরামর্শ অনুযায়ী বাজারভিত্তিক করার পথে বাংলাদেশ এগোয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, সেটা হলে মুদ্রার দাম শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী হতে পারতো। বর্তমানে হয়ত ১৯০-২০০ টাকায় পৌঁছাত। আমরা সব ক্ষেত্রে তাদের কথা শুনিনি। অনেকেই এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তবে আজ আমাদের মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে আছে।’
 
তিনি আরও বলেন, আগে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশি দায় পরিশোধে জোর দেয়া হয়েছিল। কারণ এ দায়ের জন্য এলসি খোলার গ্যারান্টির সুবিধা কম ছিল। মুদ্রাবাজার স্থিতিশীলতা ছিল প্রয়োজন, যাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, ডলার দর ছিল ১২০ টাকা; এখন প্রায় ১২২ টাকা। রিজার্ভও বেড়েছে।’
 
সুদহার কমানোর বিষয়ে সরকারের ভেতর বাইরে আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, সরকারের ভেতর-বাহির আলোচনা চলছে। তবে সুদহার বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতি কমেছে। বর্তমানে মুদ্রাবাজারে কোনো হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। আমানত হার বেড়েছে, বাজেট সহায়তার জন্য টাকা ছাপানো বন্ধ করা হয়েছে এবং ডলার বেচা বন্ধ হয়েছে। এনবিআর রাজস্ব বাড়ালে সরকারের ঋণের চাপ কমবে এবং আমানত আরও বাড়বে।
 
এদিকে, রাজস্ব আদায় চলতি বছরে ১৫ শতাংশ বেড়েছে তবু কর-জিডিপি অনুপাত কমছে, যা ভাবনার বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, জিডিপি হিসাবের কোথাও ঘাটতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ভ্যাট আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। এখন থেকে করছাড় আর এনবিআর স্বয়ং দেবে না, এজন্য সংসদ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে রাজস্বে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও ভ্যাট ও অন্যান্য কর কোথায় হারাচ্ছে, তা শনাক্ত করার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর পরিকল্পনাও আছে।
 
তিনি আরও জানান, রাজস্ব আয় বাড়াতে শুল্ক কমানো হবে, ভ্যাট ও অন্যান্য কর বাড়ানো হবে, নগদ টাকার ব্যবহার কমানো হবে। এতে কর আদায় সহজ হবে এবং ভ্যাট হারের জটিলতা দূর হবে। বর্তমান সরকারের মেয়াদেই এনবিআরের দুই বিভাগে দুইজন সচিব নিয়োগ দেয়া হবে।

FJ