বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ বিদেশ থেকে ফেরত আনা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া এবং এতে অন্তত ৪ থেকে ৫ বছর সময় লাগে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তবে লন্ডনে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মামলা এবং ওয়াশিংটনে এস আলম গ্রুপের আরবিট্রেশন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান গভর্নর।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর অগ্রগতি প্রসঙ্গে ড. মনসুর বলেন, সরকার এ বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক এবং ইতোমধ্যে অনেকগুলো মামলা করা হয়েছে। তবে আইনি প্রক্রিয়ার কারণে বিদেশ থেকে অর্থ ফেরত আনতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়।
লন্ডনে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তির বিষয়ে গভর্নর বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে লন্ডনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী মামলা লড়েননি, ফলে তিনি এমনিতেই হেরে গেছেন। সেখানে টাকা ফেরত পাওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে এই অর্থ ফেরত আসতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
অন্যদিকে এস আলম গ্রুপের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এস আলম উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে আরবিট্রেশন ফাইল করেছে। একেই বলে ‘চোরের মায়ের বড় গলা’। তবে আমরা আইনিভাবেই এই মামলা লড়ব।’
গভর্নর আরও জানান, বাকি অর্থ ফেরানোর বিষয়টি আবেদনের ওপর নির্ভর করছে এবং এটি একটি দীর্ঘ প্রসেস। তবে সরকার প্রতিটি কেস গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা