ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেছেন, দেশে গত ১৫ বছরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে দারিদ্র্য কমেছে। তিনি বলেন, কৃষিনির্ভর দেশ থেকে আমরা শিল্প ও সেবাখাত নির্ভর হয়েছি। এখন তৈরি পোশাকখাতের পাশাপাশি রপ্তানি বহুমুখীকরণ করতে হবে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) ডিসিসিআই আয়োজিত দেশের সমসাময়িক অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি এবং ২০২৪ সালে ডিসিসিআইর বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়ার বিষয়টি সহজ করতে হবে। এসব খাতে দক্ষ মানুষের অভাব রয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন এনে তা পূরণ করতে হবে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, আগামী এক দশকে আমরা বিশ্বের ২০টি বড় অর্থনৈতিক দেশের তালিকায় পৌঁছাতে যাচ্ছি। এখন আমাদের গ্রোথ ১০ এ নেমেছে, কিন্তু চীনসহ অনেক দেশের গ্রোথ পাঁচ শতাংশের নিচে। আমাদের গ্রোথের সব ফান্ডামেন্টাল ভালো আছে, প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত।
আশরাফ আহমেদ বলেন, চ্যালেঞ্জ বড় বিষয় নয়। আমাদের অর্থনৈতিক গ্রোথ চেঞ্জ করার মতো কোনো ফান্ডামেন্টালের পরিবর্তন হয়নি। সব ঠিক আছে।
মূল্যস্ফীতির নিয়ে তিনি বলেন, এ সমস্যা আমাদের আগেও হয়েছে। সেটা আমরা ওভারকাম করেছি। পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয়। মূল্যস্ফীতি সবাইকে পীড়া যা এটা বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলেছে। আমাদের মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু বাকি দুনিয়ার তুলনায় সেটা অনেক ভালো অবস্থা।
রিজার্ভ প্রসঙ্গে আশরাফ আহমেদ বলেন, আমাদের আড়াই মাসের মজুত রিজার্ভ প্রয়োজন। সেখানে সাড়ে তিন মাসের রিজার্ভ মজুত রয়েছে। একইসাথে প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। অনেক আইনের পরিবর্তন ও সংযোজন প্রয়োজন। অন্যদিকে বৈশ্বিক বাজার থেকে আমাদের যে পরিমাণ ব্যবসা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে, আমরা তার সামান্যও নিতে পারছি না। সেটা কীভাবে বাড়ানো যায়, সে সহায়ক নীতি প্রয়োজন। আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমাদের আরও বেশি মানুষকে করের আওতায় আনতে হবে। পুঁজিবাজারে বন্ডের সেকেন্ডারি ট্রেড বাড়াতে হবে। এছাড়া জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনে গ্যাস আমদানি করতে হবে।
