ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ার দর তদন্তের নির্দেশ

আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪১ এএম

শেয়ারবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড (কেপিপিএল)। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া এবং অধিক পরিমাণ লেনদেনের কারণ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ সংশ্লিষ্ট তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের কারখানায় উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। এরপরও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম রহস্যজনকভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বর্তমান পরিস্থিতি জানার জন্য কারখানা পরিদর্শন করেছে ডিএসইর পরিদর্শক দল। পরিদর্শনকালে তারা কারখানাটি বন্ধ পেয়েছে। এ খবর প্রকাশ পাওয়ার পরেও কোম্পানিটির শেয়ারের দামের উল্লম্ফন থামেনি। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়া এবং হঠাৎ অধিক পরিমাণ শেয়ার লেনদেনের কারণ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৪ কার্যদিবসে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ারের দাম ৩০.৮০ টাকা বেড়েছে। গত ২ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ২৬ টাকা। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬.৮০ টাকায়। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১১৮.৪৬ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া, ২ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭১ টাকা। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ লাখ ১ হাজার ১৯২ টাকা। ফলে, কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভিক বেড়ে যাওয়া এবং হঠাৎ অধিক পরিমাণ শেয়ার লেনদেন বিএসইসির সার্ভিল্যান্স বিভাগের নজরে এসেছে।

ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে (সিআরও) পাঠানো চিঠিতে বিএসইসি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারের দাম ও পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানিটি সাম্প্রতিক অস্বাভাবিক মূল্য এবং শেয়ারের পরিমাণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনো মূল্য-সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেনি। এ পরিস্থিতিতে ডিএসইকে কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন সম্পর্কে বিশদ বিবরণের ওপর উল্লেখিত সময়ের জন্য তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, দেখা যাচ্ছে যে, কোম্পানিটির শেয়ার ২৬ টাকা থেকে ৫৬.৮০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে গত ২ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার উল্লিখিত সময়ে ১১৮.৪৬ শতাংশ বেড়েছে। এই চিঠি জারির তারিখ থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে বিএসইসির কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলো।

এদিকে, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই কোম্পানিটিকে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির জবাবে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ ডিএসইকে জানায়, কোনো প্রকার অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের শেয়ারের দাম বাড়ছে।

FI
আরও পড়ুন