ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বৈদেশিক মুদ্রায় কারসাজি

৯ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বদলির নির্দেশ

আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৫ এএম

বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে অনিয়মের দায়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৯ ব্যাংকের (সরকারি-বেসরকারি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সর্তক বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যাংকগুলোর নির্বাহীদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। এতে সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে ব্যাংকগুলোর মধ্যে সরকারি ৪টি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং বেসরকারি ৫টি বাণিজ্যক ব্যাংক পূবালী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, মিচুউয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ডলার কারসাজিতে জড়িত। এ বিষয়ে নতুন করে যেন এসব অনিয়ম না হয়, সে বিষয়ে বিমানবন্দরে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বুথকে তদারকি জোরদারের তাগিদ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রবাসী কর্মজীবী ও বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশের ভ্রমণকারীরা তাদের সঙ্গে আনা বিদেশি মুদ্রা বিমানবন্দরে থাকা ব্যাংকের বুথ ও মানি এক্সচেঞ্জারে বাংলাদেশি টাকায় এনক্যাশমেন্ট করে থাকে। আর নিয়ম অনুযায়ী ফরেন কারেন্সি এনক্যাশমেন্ট ভাউচার গ্রাহককে দিতে হয়। কিন্তু ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারের কিছু কর্মকর্তা ভাউচার না দিয়ে বা জাল ভাউচার দিয়ে সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে তার বিনিময়ে টাকা দিয়ে দেয়। যা মানি লন্ডারিংয়ের মধ্যে পড়ে।

এদিকে সম্প্রতি দুদকের কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল বিমানবন্দরে অভিযান চালায় দুদকের একটি টিম। তাদের অভিযানে অভিযোগের সত্যতার বিষয়টি উঠে আসে।

দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছে, শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে যে বৈদেশিক মুদ্রা আসে, তা ব্যাংকিং চ্যানেলে রিজার্ভে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তা ব্যাংকিং চ্যানেলে না দেখিয়ে ডলার কিনে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। অনেক সময় তা বিদেশে পাচার হয়ে যায়।

IL/SA
আরও পড়ুন