চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম আট মাসে (জুলাই- ফেব্রুয়ারি) সরকার বৈদেশিক ঋণ সুদসহ আসল পরিশোধ করেছে ২০৩ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) একইসময়ে পরিশোধ করেছিল ১৪২.৪১ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের আট মাসে বৈদেশিক ঋণ সুদসহ আসল পরিশোধ বেড়েছে ৬০ কোটি ৫৯ লাখ ডলার বা ৪২.৫৩ শতাংশ।
সোমবার (২৫ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের সরকার বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করেছে ৮০ কোটি৫৯ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের একইসময়ে সুদ পরিশোধ করা হয়েছিল ৪০ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
সূত্রে জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ প্রতিশ্রুতি বেড়েছে। এ সময়ে উন্নয়ন সহযোগীরা ৭২০ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৭৮ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে ৯৯২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে।
এদিকে অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি এসেছে এডিবির কাছ থেকে। এ সংস্থার কাছ থেকে ২৬২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। এছাড়া, জাপানের কাছ থেকে ২০২ কোটি ডলার, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১৪১ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
ইআরডির তথ্য আরও জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে প্রথম আট মাসে বৈদেশিক অর্থ ছাড় হয়েছে ৪৯৯ কোটি ৭ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে অর্থ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৪৮৭ কোটি ডলার। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থ ছাড় করেছে এডিবি। সংস্থাটি অর্থ ছাড় করেছে ১৩০ কোটি ডলার। জাপান ছাড় করেছে ১০৪ কোটি ডলার। এরপরে বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৮৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এছাড়া, রাশিয়া ৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং চীন ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে।
