ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি

আপডেট : ০৩ মে ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম

রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। রোজার ঈদের আগে সোনালি মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা ছিল। এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে এখন ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা সোনালি মুরগির সংকটের কথা বলছেন। কিন্তু বাজারে গিয়ে সোনালি এই কোনো সংকট দেখা যায়নি।

শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, বাড্ডা ও সারুলিয়াসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি মুরগি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও গত সপ্তাহে সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায় এবং এক মাস আগে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নতুন করে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়েনি। আগের দামেই কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সোনালি মুরগির সরবরাহে সংকট চলছে, যার কারণে দাম বেড়েছে। এর আগে কখনো এত দামে সোনালি মুরগি বিক্রি হয়নি বলেও তারা জানান। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, সংকটের অজুহাত দিয়ে সিন্ডিকেট করে রেকর্ড দামে সোনালি মুরগি বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

সারুলিয়া বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, ঈদের পর থেকেই বাজারে সোনালি মুরগির সংকট চলছে, যার কারণে কয়েক দফায় দাম বেড়ে এখন ৪০০ টাকায় উঠেছে। তবে ব্রয়লার মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটো, ঢেঁড়স ও পটল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গা কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শসা কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজি ১২০ টাকা, চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও প্রতি কেজি কাঁচা আম ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে পেঁয়াজ কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে আদা কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আলু কেজি ৬০ টাকায়, দেশি রসুন কেজি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

বাজার করতে আসা শফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, রোজার ঈদের সময় সব কিছুর দাম বেড়েছে। কোরবানির ঈদের আগেও আবার সব কিছুর দাম বাড়ছে। সেই বৃদ্ধি পাওয়াটা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। কোরবানির ঈদে যেহেতু মাংসের চাহিদা বেশি থাকে তাই সোনালি মুরগির দাম বাড়ছে। কয়েকদিন পর দেখা যাবে গরুর মাংসের দামও বাড়বে। আর ঈদের আগে দেখা যাবে গরুর দামও বেড়ে গেছে। আমরা যে কবে সুষ্ঠু জীবনে ফিরতে পারবো সেটা আল্লাহই ভালো জানেন।

WA/SA
আরও পড়ুন