প্রতিযোগিতামূলক দামে বিদ্যুৎ কিনতে বিশেষ আইন বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে জবাবদিহি নিশ্চিতে বিইআরসিকে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।
রোববার (১৮ আগস্ট) সিপিডি কার্যালয়ে এ খাতে অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় তুলে ধরে গবেষণা সংস্থাটি। তাদের মতে, নতুন করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন না করলেও, ২০৩০ সাল পর্যন্ত চাহিদা মেটানো সম্ভব।
গত ১৫ বছরে ১ লাখ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ গুণতে হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যার সুবিধা নিয়েছে সরকার সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালীরা। তাদের মতে, প্রতিযোগিতা এড়িয়ে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কেনায় ছিলো স্বচ্ছতার অভাব। এতে সেবার বিপরীতে বাড়তি অর্থ গুণতে হয়েছে গ্রাহকদেরই।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ১৭ টি সংস্কারের সুপারিশ তুলে ধরে সিপিডি।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘তিনটি পলিসির দ্রুততম সময়ে সংস্কার এবং সংশোধন দরকার। এগুলো হলো কুইক অ্যানাউসমেন্ট পাওয়ার সাপ্লাই অ্যাক্ট করা হলে অন্য অনেক জায়গায় এর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দ্বিতীয়টি হলো, ইনটিগ্রেটেড পাওয়ার সাপ্লাই মাস্টারপ্লান করা। এবং তৃতীয়টি হলো বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এর অ্যামাডমেন্টে পুরনোটাতে ফিরে যাওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেয়া হয়। তারা বলেন, গত কয়েক বছরের আর্থিক প্রতিবেদনগুলোর আন্তর্জাতিক মানের নীরিক্ষার দরকার। বলা হয়, ২০৪১ সালে বিদ্যুতের চাহিদা হতে পারে ২৭,০০০ মেগাওয়াট।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এখন আমাদের যে পরিমান বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি রয়েছে, আমাদের হিসাব বলে আর যদি এক মেগাওয়াট বিদ্যুত নাও যুক্ত হয় তাহলে ২০৩০ সাল পর্যন্ত চলবে।’
নবায়নযোগ্য জ্বালানির উত্তরণে স্রেডার সক্ষমতা বাড়ানোর সুপারিশ করেন গবেষকরা। নতুন সরকারের শাসনামলে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা বাড়বে বলেও মত তাদের।