বাংলাদেশ জুড়ে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদকে ঘিরে উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। তবে এবারের উৎসবে আনন্দের পাশাপাশি ছায়া ফেলেছে আর্থিক উদ্বেগ। কোরবানির পশুর রেকর্ড মূল্য ক্রেতাদের কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছে ভীষণ চাপ, যা খেটে খাওয়া ও মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য এবারের ঈদ উদ্যাপনকে কঠিন করে তুলবে।
এর আগে ২০২৪ সালে দেশে কোরবানির পশু জবাই হয়েছিল প্রায় ১ কোটি ৪ লাখ ৯ হাজার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩ লাখ ৬৭ হাজার বেশি। ঐ সময় শুধু ঢাকা বিভাগেই ২৫ লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়েছিল। তবে এবার সেই সংখ্যা ধরে রাখা নিয়েই দেখা দিয়েছে সংশয়।
এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত বছর প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ পশু বিক্রি হলেও ২৩ লাখ পশু অবিক্রীত থেকে যায়। এরই মধ্যে চলতি বছরে পরিবহণ খরচ, পশুখাদ্যের বেশি দাম, খরা ও বিভিন্ন রোগবালাইয়ের কারণে খামারিদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে, যা সরাসরি বাজারে দাম বাড়িয়েছে।
কুষ্টিয়ার গরু ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর কোরবানির ঈদে দশ ট্রাক গুরু পাঠিয়েছিলাম ঢাকায়, এবার মাত্র চার ট্রাকের মতো গরু ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছি। খরচ আর লোকসানের ভয়ে এবার তেমন ঝুঁকি নেব না।
জানতে চাইলে কুমিল্লার খামারি আজিজ মোহাম্মদ বলেন, খরচ সামলাতে না পেরে এবার আগেভাগেই গরু বিক্রি করে দিয়েছি। গো-খাদ্যের লাগামহীন দাম বেড়ে যাওয়ায় আগেভাগেই গরু বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।
