ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

হান্ডা বাংলাদেশে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে

আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৫০ পিএম

হংকং-ভিত্তিক টেক্সটাইল এবং পোশাক চেইন ইন্ডাস্ট্রিজ  ‘হান্ডা’ বস্ত্র ও পোশাক খাতে ২৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। কোম্পানিটি এখন বাংলাদেশে তিনটি কারখানা স্থাপন করবে- দুটি গার্মেন্টস প্রসেসিং এবং একটি নিটিং ও ডায়িং ইউনিট। যার মাধ্যমে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার সময় বিনিয়োগে এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজর চেয়ারম্যান হান চুন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান সভায় উপস্থিত ছিলেন।


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিনিয়োগ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতে চীনা বিনিয়োগের নেতৃত্ব গ্রহণ এবং অন্যান্য চীনা বিনিয়োগকারীদের এদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার অনুরোধ জানান। তিনি হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে বাংলাদেশি ডিজাইনারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান যাতে তারা ক্রেতাদের রুচি সম্পর্কে জানতে পারেন।

হান্ডা প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে বস্ত্র খাতে ১৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করে। গত এপ্রিলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনের সময় এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে বিস্তারিত আরও মূল্যায়নের পর এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনা ২৫ কোটি ডলারে উন্নীত করেছে।

হান চুন বলেন, বিডা বেজা এবং বেপজাসহ সরকারি সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর আস্থা পেয়ে বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক ও বস্ত্র শিল্পে সর্বশেষ প্রযুক্তি আনতে চাই।’ 

হান চুন প্রধান উপদেষ্টাকে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের স্থাপন করা কারখানার একটি নকশা উপস্থাপন করেন। প্রথম পর্যায়ে মিরসরাইয়ের পোশাক কারখানার জন্য জমি লিজ চুক্তি বুধবার স্বাক্ষরিত হবে, যার বিনিয়োগ মূল্য ৮ কোটি মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় ধাপের জন্য জমি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা চূড়ান্তকরণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। এ বছরের শেষ নাগাদ এটি সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

MMS
আরও পড়ুন