দেশের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন ট্রাভেল সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্ট হঠাৎ করেই কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। এতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন শত শত গ্রাহক ও ট্রাভেল এজেন্সি।
অভিযোগ উঠেছে, মূল মালিক শত শত কোটি টাকা নিয়ে রাতারাতি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। গ্রাহক টাকা দিয়ে এখন খুঁজে পাচ্ছেন না কাউকে, পাচ্ছেন না কোনো সেবা। দীর্ঘদিনের আস্থার জায়গা ছিল যে প্ল্যাটফর্ম, সেটির এমন গায়েব হয়ে যাওয়া ঘিরে তৈরি হয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ ও আতঙ্ক। সব মিলিয়ে ফ্লাইট এক্সপার্ট এখন এক রহস্যজনক গায়েবের নাম।
শনিবার (২ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না, হেল্পলাইন নম্বর অচল, অফিস তালাবদ্ধ। সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে শতাধিক ট্রাভেল এজেন্সি—সবাই অজানা শঙ্কায়। অনেকে অভিযোগ করছেন, লাখ লাখ টাকা জমা দিয়েও পাচ্ছেন না টিকিট, রিফান্ড বা কোনো সহায়তা।
প্রতিষ্ঠানটির সেলস ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, আমাদের মালিক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অফিসের কারও সঙ্গে এখন আর কোনো যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। ফেসবুকজুড়ে এ বিষয়ে ছড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য অভিযোগ ও হতাশার পোস্ট। এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় জিডি করতে যাচ্ছেন বলেও জানান মামুনুর রশিদ।
তিনি আরো জানান, রাজধানীর মতিঝিলের প্রধান কার্যালয়ে গেলে সেটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির কোনো প্ল্যাটফর্মই সচল নেই। তাদের ফেসবুক পেজে শেষ পোস্টটি ছিল হজ প্যাকেজ নিয়ে। এরপর আর কোনো আপডেট নেই।
২০১৭ সালের মার্চে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ফ্লাইট এক্সপার্ট। দেশি-বিদেশি ফ্লাইট টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন, ট্যুর প্যাকেজ ও ভিসা প্রসেসিংয়ের মতো সেবার মাধ্যমে দ্রুতই গ্রাহকের আস্থা অর্জন করে তারা। সহজ ব্যবহারযোগ্যতা, আকর্ষণীয় ছাড় এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম ছিল তাদের জনপ্রিয়তার মূল কারণ।
হঠাৎ করেই ফ্লাইট এক্সপার্টের এই গায়েব হয়ে যাওয়া নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। জয়িতা আফরিন নামে এক ক্ষুব্ধ গ্রাহক লিখেছেন, ‘ফ্লাইট এক্সপার্টের মতো ট্রাস্টেড কোম্পানি যদি পালিয়ে যায়, তাহলে আর কাকে বিশ্বাস করব?’
রোববার যান চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ‘মহাবিপদ সুযোগে পরিণত হয়েছে’: ড. জাহিদ