এক বছরেরও কম সময় দায়িত্ব পালন করে পদত্যাগ করেছেন ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ মোহাম্মদ মারুফ। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাংকের ভেতরে বাড়তে থাকা চাপ ও পরিচালকদের সঙ্গে টানাপোড়েনের জেরেই তার এ সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে।
গত বছরের অক্টোবরে ঢাকা ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেন মারুফ। এর আগে তিনি সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত এমডি ছিলেন।
ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার পরিবর্তনের পর কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান পরিচালক হঠাৎ সক্রিয় হয়ে ওঠেন এবং নিয়মিত কার্যালয়ে যাতায়াত শুরু করেন। এ নিয়ে টানাপোড়ন তৈরি হলে এমডিকে পদত্যাগ করতে হয়। তবে এ বিষয়ে শেখ মোহাম্মদ মারুফের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার বলেন, আমাদের সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কিছু নিয়ম পরিপালন করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর পদত্যাগপত্র আমরা পেয়েছি। সোমবারের পর্ষদ সভায় তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলবচলতি মাসের শুরুতেই এক সপ্তাহের মধ্যে তিন ব্যাংকের এমডি পদত্যাগ করেন। এর মধ্যে সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডিকে আগে থেকেই ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। মেঘনা ও কমার্স ব্যাংকের এমডিরাও হঠাৎ পদত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো এমডি পদত্যাগ করলে কারণ জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করতে হয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেয়, পদত্যাগ কার্যকর হবে কি না। অতীতে এমন নজিরও রয়েছে যে, পদত্যাগ করা কোনো এমডিকে আবার কাজে ফেরানো হয়েছে।
