ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

৩৯ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়ানোর উদ্যোগ

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:০৮ পিএম

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৩৯ বছর পর মাশুল বাড়াতে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। গড়ে ৪১ শতাংশ হারে এই মাশুল বাড়ানোর প্রস্তাবনা অনুমোদন পেয়ে গেজেট প্রকাশের অপেক্ষায় থাকলেও, বন্দর ব্যবহারকারীদের আপত্তির মুখে তা আপাতত পর্যালোচনার টেবিলে এসেছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, আমদানি-রপ্তানিকারক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

১৯৮৬ সালের পর এবারই প্রথম এতো বড় পরিসরে মাশুল বাড়াতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। অর্থ মন্ত্রণালয় ২৪ জুলাই এ প্রস্তাবনা অনুমোদন দেয়। এরইমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু গেজেট প্রকাশের আগেই বিজিএমইএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন আপত্তি জানায়।

প্রস্তাবিত মাশুল বাড়লে প্রতি ২০ ফুট কনটেইনারে গড়ে ৪,৩৯৫ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে।আমদানি কনটেইনারে বাড়বে ৫,৭২০ টাকা। রপ্তানি কনটেইনারে বাড়বে ৩,০৪৫ টাকা। সর্বমোট কনটেইনারপ্রতি মাশুল দাঁড়াবে ১৬,২৪৩ টাকা।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী এখনো বাংলাদেশের বন্দর মাশুল আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় কম রয়েছে। তবুও সঠিক সমতা আনার লক্ষ্যেই এই সমন্বয়।

বিজিএমইএ’র পরিচালক এস এম আবু তৈয়ব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে আমাদের পণ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে। তার ওপর ৪১ শতাংশ বন্দর মাশুল বাড়ালে রপ্তানিকারকেরা চরম চাপে পড়বেন। রপ্তানিকারকেরা দুইবার মাশুল দেন একবার কাঁচামাল আমদানিতে, আবার পণ্য রপ্তানিতে। অতিরিক্ত মাশুল আরোপে তাদের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে ব্যবসায়ীদের আপত্তি শোনার পর মন্ত্রণালয় মাশুল হার পুনর্বিবেচনা করতে পারে। যুক্তিযুক্ত পরামর্শ গ্রহণ করে মাশুল বৃদ্ধির হার কিছুটা হ্রাস করারও সম্ভাবনা রয়েছে।

DR/SN
আরও পড়ুন