ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

এবার ঊর্ধ্বমুখী মুদি পণ্যের বাজার

 

 

আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৯:২৪ এএম

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে আগুন লেগেছে অনেক আগেই। সবজির লাগামহীন দামের কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এর মধ্যেই নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে মুদি পণ্যের দামও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আটা, ময়দা ও ডালের দাম বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এতে স্বল্প আয়ের মানুষ আরও বেশি চাপে পড়েছেন।

আটা-ময়দার দাম বৃদ্ধি

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা আটার দাম কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হয়েছে ৩৮–৪০ টাকায়, এখন তা ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোড়কজাত (প্যাকেটজাত) আটার দামও বেড়েছে সমান হারে। আগে যেখানে দুই কেজির প্যাকেট পাওয়া যেত ৯০-৯৫ টাকায়, এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়।

ময়দার দামেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, উৎপাদন খরচ ও সরবরাহ ব্যয়ের কারণে দাম বাড়ানো হয়েছে।

ডালের বাজারেও ঊর্ধ্বগতি

মসুর ডাল, মুগ ডাল ও ছোলার দাম বাড়ায় বিকল্প প্রোটিনের উৎস হিসেবেও ভরসা পাচ্ছে না মানুষ।

  • ছোট দানার মসুর ডাল: প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকা (২০ টাকা বৃদ্ধি)
  • মোটা দানার মসুর ডাল: প্রতি কেজি ১০৫ টাকা (৫ টাকা বৃদ্ধি)
  • মুগডাল: কেজিতে ২৫ টাকা বৃদ্ধি
  • ছোলা: প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি
  • ডিম-মুরগি এখনো চড়া দামে

প্রোটিনের অন্যতম উৎস ডিম ও মুরগির দাম এখনো আগের অবস্থানেই রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য আরেকটি বাড়তি বোঝা।

  • ব্রয়লার মুরগি: প্রতি কেজি ১৭০-১৮০ টাকা
  • সোনালি মুরগি: মানভেদে প্রতি কেজি ৩০০-৩২০ টাকা
  • ফার্মের ডিম: প্রতি ডজন ১৪০-১৫০ টাকা

সবজির নাম দাম (প্রতি কেজি/পিস/হালি)

  • গোল বেগুন- ১৪০-২০০ টাকা (মানভেদে)
  • লম্বা বেগুন-    ৮০-১০০ টাকা
  • ঢেঁড়স, পটোল- ৮০-১০০ টাকা
  • করলা, কাঁকরোল- ১০০-১২০ টাকা
  • গাজর, বরবটি- ১০০-১৪০ টাকা
  • শসা, ঝিঙা, ধুন্দল- ৮০-১০০ টাকা
  • চিচিঙা- ৮০ টাকা
  • টমেটো- ১৬০-১৮০ টাকা
  • নতুন শিম- ২২০-২৪০ টাকা
  • কাঁচা মরিচ-    ১৬০-২০০ টাকা
  • পেঁপে-  ৪০ টাকা
  • চালকুমড়া (প্রতি পিস)- ৭০-৮০ টাকা
  • লম্বা লাউ (প্রতি পিস)- ৮০-৯০ টাকা
  • কাঁচকলার হালি- ৪০-৫০ টাকা

চাহিদা বাড়লেও নিয়ন্ত্রণ নেই বাজারে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজি, পরিবহন ব্যয় ও সরবরাহ ব্যবস্থায় অসঙ্গতি থাকায় বাজারে এ অস্থিরতা চলছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর মনিটরিং ও বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে কাজ করা সংগঠনগুলো।

NB/AHA
আরও পড়ুন