ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

চলতি সপ্তাহে আকুর বিল পরিশোধ, কমবে রিজার্ভ

আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার চলতি সপ্তাহেই পরিশোধ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই অর্থ পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে যেতে পারে ৩১ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

রোববার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহেই ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের আকু পেমেন্টের পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়নের নিচে নামতে পারে।

আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। তবে এখন আকুর সদস্য পদ নেই শ্রীলঙ্কার। অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমদানি ব্যয় পরিশোধের বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির আকু সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।

গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রিজার্ভে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ১৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরে গ্রস রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ৭ বিলিয়ন এবং আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী বেড়েছে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সর্বশেষ ২০২২ সালের জুলাইয়ে মে-জুন সময়ের আমদানি বিল হিসেবে ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার আকু পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে আকু বিল পরিশোধের পরিমাণ ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।

তবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্ব থেকে আকুর বিল আবার বাড়তে শুরু করে। চলতি বছরের মে-জুন মেয়াদে পেমেন্টের পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায় যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

AHA
আরও পড়ুন