ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে ভারতকে দায়ী করে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে বিক্ষোভ করেছেন শিখ ধর্মাবলম্বীরা।
‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, কানাডার টরন্টো ও ভ্যানকুভার, ইতালির মিলান এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভে তারা ভারত সরকারের নীতির তীব্র নিন্দা জানান। খবর কালিবার.এজের।
আজারবাইজান ভিত্তিক এই সংবাদমাদ্ধম জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা শিখ অধিকারকর্মী হারদীপ সিং নিজ্জার এবং বাংলাদেশের তরুণ নেতা ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছেন। নিজ্জার ও হাদি দুজনেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের প্রভাবের কড়া সমালোচক ছিলেন বলে উল্লেখ করেন বিক্ষোভকারীরা।
বিশ্বব্যাপী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতির বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করা বাকু ইনিশিয়েটিভ গ্রুপের (বিআইজি) জানিয়েছে, গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এসব বিক্ষোভের মূল লক্ষ্য ছিল নিজ্জার ও হাদির মৃত্যুর পেছনে ভারতের দায়ের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তার মৃত্যু হয়।
আর কানাডার শিখ অধিকারকর্মী হারদীপ সিং নিজ্জার ২০২৩ সালে কানাডার ব্র্যাম্পটনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন। শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা অভিযোগ করেন, তার হত্যার পেছনেও ভারত সরকার জড়িত ছিল।
ভারত সরকার অবশ্য নিজ্জারকে পাঞ্জাবের বিচ্ছিতাবাদী ‘খালিস্তানি সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল। নিজ্জার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত এবং কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কানাডা সরকার দাবি করেছে, তাদের ভূখণ্ডে ভারতের গোয়েন্দা কার্যক্রম দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর।
তারেক রহমান বাংলাদেশের ‘পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী’