বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর সদস্য আব্দুল কালিম ওরফে আজাদের জামিন মঞ্জুর করলো কলকাতা হাইকোর্ট। আজাদ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণে অভিযুক্ত আসামী। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী আজাদের এই জামিন দেন।
রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে আজাদকে বিস্ফোরণের ঘটনার আগেই গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। পরে তাকে হেফাজতে নেয় এনআইএ। খাগড়াগড়ের মূল মামলায় বিচার শেষ করে ইতোমধ্যে ৮ বছরের নির্ধারিত সাজার মেয়াদও শেষ হয়েছে।
এসটিএফ সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রদ্রোহিতাসহ একাধিক অভিযোগে আজাদের বিরুদ্ধে যে মামলা শুরু হয়েছিল। পরে তার বিরুদ্ধে আরও কিছু তথ্য প্রমাণ পেশ করা হয় আদালতে। তার প্রেক্ষিতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা শুরু হয়নি।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বক্তব্য, যে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া কবে শেষ হবে সেটা অজানা এবং ইতোমধ্যে আজাদ ৮ বছরের সাজাও খেটেছে। তাই তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হলো।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় দু’জন নিহত হন। এর পর জেলা পুলিশ, সিআইডি-র হাত ঘুরে তদন্তভার নিজেদের হাতে নেয় এনআইএ। ঘটনায় মোট ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এর মধ্যে ১৯ জন সম্প্রতি বিচারকের কাছে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন নিজেদের দোষ কবুল করে নেয়।
ঘটনার পাঁচ বছর পর বিচারপর্ব শেষ করে সাজা ঘোষণা হলেও খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পিছনে থাকা নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর যে শীর্ষ নেতারা এই কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছে সেই কদর গাজি, কওসর ওরফে বোমা মিজান, ডালিম শেখ, ইউসুফ শেখরা যদিও দোষ স্বীকার করেনি। ওই ১২ জনের বিচারপ্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়েছিলেন বিচারক। এছাড়া আব্দুল কলিম ওরফে আজাদদের বিরুদ্ধে আরও কিছু তথ্য নথি আসায় বিচারপ্রক্রিয়া চলবে বলেও জানিয়েছিল আদালত।
