ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

এরদোগানের মধ্যস্থতায় সোমালিয়া-ইথিওপিয়ার বিরোধ অবসান

শান্তি আলোচনা শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, উভয় পক্ষই নিজেদের মধ্যকার বিরোধ মীমাংসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শান্তি এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি নতুন সূচনার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ এএম

সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ড নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ অবসানে সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার সরকারপ্রধানদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

এক্সের দুটি পোস্টে, তুর্কি প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এরদোগান আঙ্কারায় সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ এবং ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে অন্য কোনো বিবরণ ছিল না। 

শান্তি আলোচনা শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, উভয় পক্ষই নিজেদের মধ্যকার বিরোধ মীমাংসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শান্তি এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি নতুন সূচনার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।

আফ্রিকার এই অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা তুরস্কের লক্ষ্য বলে জানিয়ে এরদোগান আরও বলেন, সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার যৌথ বিবৃতি পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করবে।

সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহাম্মদ তুরস্কের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, তার দেশ সবসময় ইথিওপিয়ার ‘সত্যিকারের বন্ধু’ ছিল এবং থাকবে।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনাকে ‘পারিবারিক সংলাপ’ বলে অভিহিত করেছেন এবং এর ফলে উভয় দেশের জন্য ইতিবাচক ফলাফল এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন।

এই সমঝোতা ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার মধ্যে নতুন সহযোগিতার পথ তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত দুই দশকে আফ্রিকার দেশগুলোতে তুরস্কের দূতাবাসের সংখ্যা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। ২০০২ সালে আফ্রিকায় তুরস্কের দূতাবাস ছিল ১২টি, যা দুই দশক পর ২০২২ সালে এসে ৪৪-এ উন্নীত হয়েছে। তুরস্কের প্রভাব বৃদ্ধির আরেকটি প্রমাণ পাওয়া যায় তাদের ব্যবসায়িক সম্প্রসারণেও।

SN/KK
আরও পড়ুন