মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের এই বৈঠক মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গেও।
উচ্চপর্যায়ের এসব বৈঠকে অংশ নিতে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) তিনি ইসরায়েল ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অতিথিশালা ব্লেয়ার হাউজে থাকবেন নেতানিয়াহু।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বিমানে চড়ার আগে নেতানিয়াহু বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠকে অংশ নিতে আমি ওয়াশিংটনে যাচ্ছি। অভিষেকের পর কোনো বিদেশি নেতার সঙ্গে এটাই তার প্রথম বৈঠক হতে যাচ্ছে, যা ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে ‘মৈত্রীর যে বন্ধন’ এমন সফর তারই বহিঃপ্রকাশ মন্তব্য করে এ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্ব এরই মধ্যে ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যের জন্য আব্রাহাম অ্যাকর্ডসহ ‘অসাধারণ সব অর্জন নিয়ে এসেছে’।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বৈঠকে হামাসকে পরাজিত করা, আমাদের সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা এবং সর্বোতভাবে ইরানি অক্ষের মুখোমুখি হওয়া নিয়েও কথা হবে বলে আমার বিশ্বাস। এই ইরানি অক্ষ কেবল ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্যই হুমকি নয়, এটি মধ্য প্রাচ্য এমনকী পুরো বিশ্বের জন্যই হুমকি।’
জেরুজালেম পোস্ট লিখেছে, দুই নেতার এ বৈঠকে নেতানিয়াহু হামাস ও ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে ট্রাম্পকে রাজি করাতে চেষ্টা করবেন, যেন গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনায় তেল আবিব সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে।
তবে ট্রাম্প চাইছেন এ যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি বহাল থাকুক। নতুন কোনো পরিস্থিতি যেন চুক্তিটিকে সমস্যায় না ফেলে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন-ই চাওয়া বলে গণমাধ্যমটিকে জানিয়েছে ট্রাম্পের মধ্য প্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে কথা বলা একাধিক সূত্র।
