তাইওয়ানকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে দ্বীপটির চারপাশে প্রায়ই সামরিক টহল আর মহড়া চালায় চীন। এমনকি চীনা সামরিক বাহিনীর বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্বীপটির আকাশসীমা অতিক্রমের অভিযোগও ওঠে প্রায়ই। এবার বিনা সতর্কতায় তাইওয়ানের উপকূলীয় এলাকায় অনেকটা যুদ্ধের আদলে মহড়া চালাল চীন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) চীনা সামরিক বাহিনীর ৩২টি যুদ্ধবিমান ও ১৪টি নৌযান কোন সতর্কতা ছাড়াই তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের কাছে মহড়া শুরু করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে উপকূলে নিজেদের সেনা ও নৌ বাহিনী পাঠায় দ্বীপটি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এদিন সকাল থেকে হঠাৎই চীনা সামরিক বাহিনীর একের পর এক যুদ্ধবিমান ও রণতরী জড়ো হতে থাকে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ৪৬ মাইল দূরে। একপর্যায়ে কয়েকটি বিমান ঢুকে পরে দ্বীপটির আকাশসীমায়। মহড়ায় গুলি ব্যবহার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে তাইপে।
পরে উপকূলে দ্রুত নিজেদের সেনা ও নৌ বাহিনী মোতায়েন করে দ্বীপটি। পরিস্থিতি ‘পর্যবেক্ষণ ও সতর্কতা এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিতে’ এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
বেইজিংয়ের এমন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও জাহাজের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে মন্তব্য করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তাইওয়ান। একইসঙ্গে এই ঘটনাকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি সুস্পষ্ট উসকানি হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে দ্বীপটি। তবে মহড়ার বিষয় নিয়ে মুখ খোলেনি চীন।
কয়েক বছর ধরে তাইওয়ানের চারপাশে মহড়া এবং যুদ্ধবিমান ও রণতরীর টহল বাড়িয়েছে চীন। সার্বভৌমত্বের দাবি ছেড়ে দিতে তাইওয়ানের ওপর চাপ তৈরি করতে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। তবে বেইজিংয়ের এমন দাবির কাছে নতি স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে তাইপে।
