ঢাকা
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ইউক্রেন চুক্তির শর্ত না মেনে জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা চালাচ্ছে: রাশিয়া

আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৮ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছিল ইউক্রেন ও রাশিয়া। তবে শনিবার (৫ এপ্রিল) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, হামলা বন্ধ রাখার পরিবর্তে উলটো তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে কিয়েভ। তবে তাদের অভিযোগকে ভুয়া ও অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, রুশ অঞ্চলের জ্বালানি অবকাঠামোতে একতরফাভাবে ড্রোন হামলা ও গোলাবর্ষণ করেছে ইউক্রেন। বিগত ২৪ ঘণ্টায় এরকম অন্তত ১৪টি হামলা হয়েছে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কিয়েভের হামলায় রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক, বেলগোরোদ, স্মোলেনস্ক, লিপেটস্ক, ভোরোনেঝ অঞ্চল এবং রুশ নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের লুহানস্ক ও খেরসন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, টেলিগ্রামে প্রকাশিত পাল্টা বিবৃতিতে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ভুয়া খবর প্রচার করা হচ্ছে। ইউক্রেন হামলা চালিয়েছে সত্য, তবে সেগুলো কেবল সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সীমাবদ্ধ ছিল।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, রাশিয়ার দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে রয়টার্স সমর্থ হয়নি।

গত মাসে, মার্কিন প্রস্তাব মোতাবেক ৩০ দিনের জন্য পরস্পরের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ রাখতে সম্মত হয় মস্কো ও কিয়েভ। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কিছুদিন আগে দাবি করেছে, ১৮ মার্চ থেকে রুশ জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা স্থগিত রেখেছে তারা।

তবে দুপক্ষই একাধিকবার পরস্পরের বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে।

এদিকে, শনিবার পৃথক এক বিবৃতিতে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে শিল্প অবকাঠামোতে ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে রাশিয়ার আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ।

মরদোভিয়ায় ভলগা নদী অঞ্চলের শিল্প অবকাঠামোতে ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার গভর্নর। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, আঞ্চলিক রাজধানী শহর সারানস্কের একটি অপটিকাল ফাইবার কারখানা ছিল সেটি।

একই ধরনের হামলা হয়েছে ভলগা নদী তীরবর্তী আরেক প্রদেশ, সামারা অঞ্চলের চাপায়েভস্ক শহরের একটি কারখানায়।

হামলার কথা অস্বীকার করেনি ইউক্রেন। তবে লক্ষ্যবস্তুতে নিছক শিল্প কারখানা মানতে নারাজ তারা। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ এর এক কর্মকর্তার দাবি, কারখানাতে বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরি করা হত। সেটা ধ্বংস করতে গিয়ে ভেতরে মজুদ রাসায়নিক থেকে একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছে।

MMS
আরও পড়ুন