ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ভারতে শিল্পপতি অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম

ভারতের শিল্পপতি অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে এবার সক্রিয় আর্থিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক এফআইআর দায়ের হওয়ার পর এবার শুরু হলো ইডির অভিযান। দিল্লি, মুম্বাইসহ মোট ৩৫টি জায়গায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হয়েছে তল্লাশি। অনিল আম্বানির বড় ভাই শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি।

ইডি সূত্রের খবর, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা ও অর্থ তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫০টির বেশি সংস্থা ও ২৫ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

অর্থলগ্নি নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) সঙ্গে অনিল আম্বানির বিভিন্ন সংস্থার বিরোধ চলছে। বুধবার (২৩ জুলাই) এসবিআই অনিল আম্বানি ও তাঁর সংস্থাগুলোকে সরাসরি ‘প্রতারক’ বলে অভিহিত করেছিল। এই শিল্পপতির বিরুদ্ধে এসবিআই নিজেরাই সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভেবে রেখেছে। এর মধ্যেই শুরু হলো ইডির তল্লাশি।

এর আগে এসবিআই ২০২০ সালের নভেম্বরেও অনিল আম্বানি ও তাঁর সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্সকে ‘ফ্রড অ্যাকাউন্ট’ ঘোষণা করেছিল। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগও করেছিল। কিন্তু পরের দিন দিল্লি হাইকোর্ট সেই অভিযোগে স্থগিতাদেশ দেন।

অনিল আম্বানি ও তাঁর সংস্থাগুলো ‘চমৎকারভাবে সাজানো এক সুপরিকল্পিত প্রতারণা চক্র’ অভিহিত করে ইডি সূত্রে বলা হচ্ছে, এই চক্র ব্যাংক, বিভিন্ন লগ্নিকারী সংস্থা ও সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছে। ইডির অভিযোগ, বিপুল ঋণ পেতে এসব সংস্থা ব্যাংকের শীর্ষ কর্তাদের ঘুষ দিয়েছিল।

ইডির দাবি, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বেসরকারি ইয়েস ব্যাংক অনিলের সংস্থা ‘রাগা’ গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানিকে তিন হাজার কোটি রুপি ঋণ দিয়েছিল। তার বিনিময়ে ইয়েস ব্যাংকের তৎকালীন কর্তারা নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত হয়েছিলেন। ইডির দাবি, ওটা ছিল ‘দেওয়া-নেওয়া চুক্তি’ বা ‘কুইড প্রো কো’।

ইডির তদন্তে জানা গেছে, এমন বহু সংস্থাকে ঋণ দেওয়া হয়েছে, যাদের বিষয়ে আদৌ খোঁজখবর নেওয়া হয়নি। আর্থিক হাল যাচাই করা হয়নি। দুর্বল সংস্থা ঋণ পেয়েছে। একাধিক সংস্থার পরিচালক ও ঠিকানা এক ছিল। ঋণ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় নথি যাচাই না করেই। অনেক ক্ষেত্রে নথিই ছিল না। শেল কোম্পানিতে ঋণের টাকা পাঠানো হয়েছে। পুরোনো ঋণ মেটাতে নতুন ঋণ নেওয়া হয়েছে।

ইডিকে তদন্তে সহায়তা করছে ন্যাশনাল হাউজিং ব্যাংক, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া বা ‘সেবি’, ন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটি বা ‘এনএফআরএ’ ও ব্যাংক অব বরোদা।

সেবির প্রতিবেদনে রিলায়েন্স হোম ফিন্যান্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়মের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে ওই সংস্থার ঋণ ছিল ৩ হাজার ৭৪২ কোটি রুপি, যা ২০১৮-১৯ সালে বেড়ে হয় ৮ হাজার ৬৭০ কোটি রুপি।

MMS
আরও পড়ুন