ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

নিউইয়র্কে পুলিশ অফিসার দিদারুলকে পূর্ণ মর্যাদায় দাফন

আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৫, ০৩:১২ এএম

নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে পার্কচেস্টার জামে মসজিদের সামনে হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছিলেন পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলামের শেষ বিদায় জানাতে। ৩৬ বছর বয়সি এই বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ কর্মকর্তা গত সপ্তাহে একটি গোলাগুলির ঘটনায় নিহত হন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) তাকে রাষ্ট্রীয় পূর্ণ মর্যাদায় দাফন করা হয়। 

জানাজার ঠিক আগে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেনন্টের (এনওয়াইপিডি) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানায়, দিদারুল ইসলামকে মরণোত্তর 'ডিটেকটিভ ফার্স্ট গ্রেড’-এ উন্নীত করা হয়েছে।

আরও বলা হয়, ‘আজ পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ অফিসার দিদারুল ইসলামকে মরণোত্তরভাবে সম্মানিত করেছেন। আমরা তাকে কখনো ভুলবো না। ডিটেকটিভ ইসলামের পরিবারের সদস্যরা প্রতিটি এনওয়াইপিডি অফিসারের হৃদয়ে চিরজীবী থাকবে।’

দিদারুলের জানাজায় নিউইয়র্কের ৫৪টিরও বেশি এলাকা থেকে আসা পুলিশ কর্মকর্তা, প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর প্রতিনিধি, স্থানীয় ও নগর কর্মকর্তারা অংশ নেন। এ সময় মসজিদ-সংলগ্ন রাস্তায় নিরবতা নেমে আসে। সারি সারি দাঁড়িয়ে পড়েন ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ সদস্য, বাংলাদেশি অভিবাসী ও শোকাহত বাসিন্দারা। 

জানাজার আগ মূহুর্তে পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ বলেন,‘দিদারুল ইসলাম এই দেশে এসেছিলেন একজন অভিবাসী হিসেবে। কোনো নিশ্চয়তা ছাড়াই; কেবল পরিশ্রম ও বিনয়ের মাধ্যমে কিছু করার আশায়। তিনি সেটা পেরেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছর ধরে এনওয়াইপিডিতে কর্মরত ছিলেন দিদারুল। এর আগে তিনি স্কুল সেফটি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। দীর্ঘ শিফটের পরও অতিরিক্ত ডিউটি করে পরিবারকে সহায়তা করতেন। ইতোমধ্যেই পদোন্নতির জন্য বিবেচিত ছিলেন তিনি।

গত সোমবার নিউইয়র্কের ৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউ এলাকার একটি অফিস টাওয়ারে গোলাগুলির ঘটনায় দিদারুল ইসলামসহ আরও তিন ব্যক্তি নিহত হন। ধারণা করা হচ্ছে,এনএফএল সদর দপ্তর লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন হামলাকারী।

khk
আরও পড়ুন