ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

গাজামুখী ফ্লোটিলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুহি লোরেন

আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম

গাজার জনগণের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা' নৌবহরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রুহি লোরেন আখতার অংশ নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের নর্থাম্বারল্যান্ডের মোরপেথে তার জন্ম। রুহি গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই নৌবহরের সঙ্গে রয়েছেন।

বুধবার (১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রুহি লোরেন তার অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, নৌবহরের অন্যান্য জাহাজের ঠিক পেছনে ‘সামারটাইম জং’ নামের একটি জাহাজে তিনি অবস্থান করছেন।

রুহি আখতারের পিতার নাম কাপ্তান মিয়া। তিনি বিলাত প্রবাসী বাংলাদেশি। রুহি যুক্তরাজ্যের মরপেথে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বর্তমানে এলসউইক ওয়ার্ডে বসবাস করছেন। তিনি একজন মানবিক সহায়তা কর্মী এবং অধিকারকর্মী। 

রুহি লোরেন ফেসবুকে লিখেন, 'আমরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞা এবং আশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। নৌবহরের এই দলটি মানবিক সহায়তা নিয়ে ইসরায়েলি বাধা উপেক্ষা করে গাজায় পৌঁছানোর শেষ চেষ্টা করছে।' 

রুহি লোরেন আখতার ‘রিফিউজি বিরিয়ানি অ্যান্ড ব্যানানাস’ (আরবিবি) নামের একটি মানবিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এই সংস্থাটি যুদ্ধ ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য খাদ্য, স্বাস্থ্যসামগ্রী, দক্ষতা উন্নয়ন এবং নেতৃত্ব প্রশিক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

বর্তমানে তার সংস্থার কার্যক্রম গাজা ও গ্রিসে চালু রয়েছে। বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর পাশে থাকার অঙ্গীকারের স্বীকৃতিস্বরূপ রুহি ২০২৫ সালের অক্টোবরে নর্থ ইস্ট বাংলাদেশি অ্যাওয়ার্ডে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ সম্মাননা লাভ করেছিলেন।

‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ গাজার মানুষের জন্য সমুদ্রপথে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। বহরে প্রায় ৪৪ দেশের ৫০০ মানুষ রয়েছেন।  যাদের মধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের নাগরিকসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দিকে যাওয়া ত্রাণবাহী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪৪টি জাহাজের মধ্যে ৪৩টি জাহাজই আটক করেছে ইসরায়েল নৌবাহিনী। গাজা অভিমুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সব জাহাজ আটকের দাবি করে ত্রাণবাহী এই নৌবহরের যাত্রা গাজায় পৌঁছানোর আগেই শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এসব জাহাজ আটকাতে গিয়ে কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি বলেও জানিয়েছে তারা।

LH/FJ
আরও পড়ুন