ঢাকা
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আফগানিস্তানের সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া

আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৩০ এএম

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ‘আমরা পশ্চিমা দেশগুলোকে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তনের আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়া এবং দেশটির পুনর্গঠনের দায়ভার নিতেও আহ্বান জানাচ্ছি।’

 

রাশিয়া ও আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেছেন। কয়েক মাস আগে মস্কো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এটা তাদের প্রথম বৈঠক। 

 

বৈঠকে অংশ নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার তীব্র সমালোচনা করেন এবং আফগানিস্তানের যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।

 

‘মস্কো ফরম্যাট’ নামে আফগানিস্তান নিয়ে আয়োজিত এই বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তব্যে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ তালেবান সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তালেবান নিজ দেশে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আঞ্চলিক শাখার বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। 

 

আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্পদ জব্দ করে রাখা এবং দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ কাবুলের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ‘মুখোমুখি অবস্থানের নীতির’ সমালোচনা করেন লাভরভ।

 

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, আফগানিস্তান বা এর প্রতিবেশী দেশে অন্য কোনো দেশের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। 

 

তিনি বলেন, ‘বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপ কতটা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে, তা ইতিহাস আমাদের দেখিয়েছে। আমরা সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে পারি না।’

 

বৈঠকে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ছাড়াও ভারত, ইরান, পাকিস্তান এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঁচটি মধ্য-এশীয় প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আফগানিস্তানে নিয়োজিত রাশিয়ার বিশেষ দূত জামির কাবুলভ সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তানের মাটিতে মস্কোর সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা নেই।

 

২০২১ সালে পশ্চিমাদের সহায়তাপুষ্ট সরকারকে উৎখাত করে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে তালেবান। এরপর তারা নিজেদের মতো করে একধরনের কঠোর ইসলামি আইন চালু করে।

 

২০২৫ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে সরিয়ে তাদের রাষ্ট্রদূতকে গ্রহণ করে। গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের মিত্র’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।

HN
আরও পড়ুন