ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

রণকৌশলে পরিবর্তন, আরও নির্ভুল ও ভয়ংকর জবাব দেবে ইরান

আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নবম দিনে এসে পৌঁছেছে। শুরুর দিন থেকেই ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্ব এবং পারমানবিক স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করতে নিরবচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে বসে নেই ইরানও; শত্রুপক্ষের চোখে চোখ রেখে কঠিন জবাব দিয়ে যাচ্ছে দেশটির সামরিক বাহিনী। তবে, এবার রণকৌশলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে তারা। 

ইরানের সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন আর আগের মতো বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে না তারা। বরং আগের তুলনায় অধিক উন্নত ও নির্ভুল নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মজুত ফুরিয়ে আসছে বলে ইসরায়েল যে দাবি করেছে, তা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।

শনিবার (২১ জুন) ওই কর্মকর্তার এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েল বলে আসছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মজুত এখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকলেও তাদের চালানো বিমান হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকারী যন্ত্রের অন্তত ৫০ শতাংশ ধ্বংস হয়েছে। এর মাধ্যমে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর সক্ষমতা কমেছে।

তবে, ইরানের সামরিক বাহিনী বর্তমানে আরও উন্নত প্রযুক্তির নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন ইরানি ওই কর্মকর্তা। 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীও (আইডিএফ) ইরানের এই দাবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড বলেছে, ইরান এমন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে, যেগুলো ক্লাস্টার বোমা বহনে সক্ষম।

এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেড বা বোমা নির্দিষ্ট উচ্চতায় (প্রায় ৭ কিলোমিটার) পৌঁছে অন্তত ২০টি বিস্ফোরক অংশে ভাগ হয়ে যায় এবং প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

ইরানি ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছি এবং তা সহজেই মার্কিন থাড, প্যাট্রিয়ট, অ্যারো ৩, অ্যারো ২, ডেভিডস স্লিং ও আয়রন ডোমের সব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত করেছে। তবে, তিনি সেই ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তুর নাম প্রকাশ করেননি।

তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা কমে যাওয়ায় খুশি না হয়ে ইসরায়েলের উচিত ইরানের নতুন শক্তির ভারসাম্যের সামনে কেবল দর্শকের ভূমিকায় থাকা।

AHA
আরও পড়ুন