অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ দেয়ার জন্য মিশর ও জর্ডান সীমান্তে অপেক্ষারত ২২ হাজারের বেশি ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিক্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর স্টাফরা না খেয়ে রাত পার করার অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, বারবার বাস্তুচ্যুতি, ক্ষুধা ও অবসাদ গাজার মানুষের জীবনের অংশ হয়ে গেছে।
মানার নামে ইউএনআরডব্লিউএর স্টাফ বলেন, ‘প্রতিদিন আমি ঘুম থেকে উঠি কী হবে, তা না জেনেই। আমাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তারপর থেকে কোনো নিরাপদ আশ্রয় পাইনি। সব সময় আতঙ্ক- বোমার আতঙ্ক, কোনো স্বজন হারানো বা আবার অন্য কোথাও স্থানান্তরের আতঙ্ক। পানি নেই। খাবারও তো নেই-ই।’
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ২২ হাজারেরও বেশি মানবিক ত্রাণবাহী ট্রাককে তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। এটি ‘ক্ষুধা, অবরোধ এবং বিশৃঙ্খলা’র একটি পদ্ধতিগত অভিযানের অংশ।
এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে গাজা উপত্যকার ক্রসিং গেটে বর্তমানে ২২ হাজারেরও বেশি মানবিক ত্রাণবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে, যার বেশিরভাগই জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থার।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অনাহার, অবরোধ এবং বিশৃঙ্খলা তৈরির একটি পদ্ধতিগত নীতির অংশ হিসেবে দখলদার ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাকগুলো প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা ইসরায়েলি দখলদারিত্ব, নীরবতা বা সহযোগিতার মাধ্যমে জড়িত রাষ্ট্রগুলোকে ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয়ের জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী করি।’
এছাড়া মিডিয়া অফিস আটকে থাকা সব ট্রাকগুলোর অবিলম্বে এবং নিঃশর্তে প্রবেশ, সীমান্ত ক্রসিং সম্পূর্ণরূপে পুনরায় খোলা এবং ‘অনেক দেরি হওয়ার আগে’ গাজার বেসামরিক নাগরিকদের কাছে নিরাপদে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
