ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ইসরায়েলের আকাশপথ অবরোধে অর্থনীতি ভেঙে পড়বে: আরব গবেষণা কেন্দ্র

আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম

আরব ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো যদি একযোগে ইসরায়েলের জন্য আকাশপথ অবরোধ করে, তাহলে এর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তাগত প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। এমনটাই উঠে এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আল হাবতুর রিসার্চ সেন্টার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের রাজধানী দোহায় ৯ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল যে বিমান হামলা চালায়, তা এই ধরনের সম্মিলিত পদক্ষেপের সম্ভাব্য অনুঘটক হতে পারে। ওই হামলায় হামাসের ছয়জন সদস্য নিহত হন, যাদের একজন ছিলেন কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৫৭ সদস্যবিশিষ্ট ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (OIC) এবং আরব লীগ দোহায় জরুরি বৈঠকে বসে। সেখানে ইসরায়েলের সীমা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি এই আকাশপথ অবরোধ বাস্তবায়িত হয়, তবে এর ফলে ইসরায়েলের জিডিপি ৫.৭% পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে, যা দেশটিকে অর্থনৈতিক মন্দায় ঠেলে দিতে পারে। ইসরায়েলের প্রধান এয়ারলাইন এল-আল–এর আয়ে ৬০–৭৫% পর্যন্ত পতন ঘটতে পারে। প্রতিটি ফ্লাইটের সময় ৪-৬ ঘণ্টা বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে ৩০,০০০-৬০,০০০ ডলার অতিরিক্ত খরচ হতে পারে প্রতি ফ্লাইটে। পর্যটন, হীরা রপ্তানি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের বাজারে বড় ধরনের ধস নেমে আসবে। আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আসবে। যুক্তরাষ্ট্রকে কূটনৈতিকভাবে চাপে পড়তে হবে। ইসরায়েল না আরব দেশ, এই দুইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত অবস্থান নিতে হবে।

গবেষণায় আরও বলা হয়, ওআইসি’র প্রভাবশালী দেশ যেমন তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া যদি এই অবরোধে যোগ দেয়, তাহলে ইসরায়েল এশিয়া ও আফ্রিকার উদীয়মান বাজারগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বিকল্প রুট ব্যবহারে ফ্লাইট ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্যবসায় চুক্তি বাতিল, এবং গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম অন্যত্র স্থানান্তর হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

প্রতিবেদনটি উল্লেখ করে, এই ধরনের কৌশলগত পদক্ষেপ শুধু ইসরায়েল নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিক চিত্রকেই পাল্টে দিতে পারে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশ ও অন্যান্য বিশ্বশক্তিকেও নতুন করে সমীকরণ বিবেচনা করতে হবে।

DR/AHA
আরও পড়ুন