ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ১৫ মাসের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হামাস এবং ইসরায়েল অবশেষে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে উপনিত হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক মাস আলোচনার পর এই চুক্তিতে পৌঁছায় উভয়পক্ষ।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিচুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস। সকল পক্ষকে তাদের প্রতিশ্রুতিকে বহাল রাখতে এবং চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতেও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, জাতিসংঘের মহাসচিব বুধবার গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি মুক্তি চুক্তির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে চলেছে।
আন্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, আমি মধ্যস্থতাকারীদের — মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র — এই চুক্তির মধ্যস্থতায় তাদের নিবেদিত প্রচেষ্টার জন্য প্রশংসা করছি। কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য তাদের অটল প্রতিশ্রুতি এই অগ্রগতি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমি সকল পক্ষকে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য এবং এই চুক্তিটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হওয়াটা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের সঙ্গে এই মধ্যস্ততায় নেতৃত্ব দিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি।
দোহায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই চুক্তির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ হচ্ছে ৪২ দিন। এই সময়ের মধ্যে হামাস ৩৩ জন বন্দিকে মুক্তি দিবে যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়লে হামলার সময় থেকে হামাসের হাতে আটক রয়েছে। এর পরিবর্তে ইসরায়েলও বহু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিবে।
আল-থানি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়টি বাস্তবায়িত হওয়ার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের বিস্তারিত বিষয়টি সম্পর্কে সম্মতি পাওয়া যাবে।
