মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের বিভিন্ন মহাকাশ কর্মসূচিতে চীনা নাগরিকদের কাজ করা থেকে বিরত রেখেছে। বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও তাদের নাসার স্থাপনা, সরঞ্জাম ও নেটওয়ার্কে প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে তীব্র হয়ে ওঠা মহাকাশ প্রতিযোগিতা আরও স্পষ্টভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।
ব্লুমবার্গ নিউজ প্রথম এ খবর প্রকাশ করে এবং পরে নাসা বিষয়টি নিশ্চিত করে। নাসার প্রেস সেক্রেটারি বেথানি স্টিভেন্স বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নাসা চীনা নাগরিকদের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের কাজের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের জন্য বিভিন্ন স্থাপনায় প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতদিন চীনা নাগরিকরা নাসার স্থায়ী কর্মী না হলেও ঠিকাদার বা শিক্ষার্থী হিসেবে গবেষণার কাজে যুক্ত হতে পারতেন। তবে ৫ সেপ্টেম্বর কয়েকজন চীনা নাগরিক অভিযোগ করেন, হঠাৎ তাদের আইটি সিস্টেমে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সরাসরি সাক্ষাতে অংশ নেওয়ার সুযোগও বাতিল করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে চীনবিরোধী নীতির প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়েই চাঁদে নভোচারী পাঠানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যুক্তরাষ্ট্র ‘আর্টেমিস’ কর্মসূচির মাধ্যমে ২০২৭ সালের মধ্যে আবারও নভোচারী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে। তবে বাজেট বৃদ্ধি ও সময়ক্ষেপণের কারণে এ কর্মসূচি নানা সমস্যায় পড়েছে। অপরদিকে, চীন ২০৩০ সালের মধ্যে নিজেদের নভোচারী ‘তাইকোনট’দের চাঁদে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে এবং সময়সীমা পূরণে তারা তুলনামূলকভাবে সফল হয়ে আসছে।
নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক সিন ডাফি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা এখন দ্বিতীয় মহাকাশ প্রতিযোগিতার মধ্যে আছি। চীন আমাদের আগে চাঁদে ফিরে যেতে চায়, সেটা হতে দেব না। যুক্তরাষ্ট্র অতীতে মহাকাশ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে।
এছাড়া চীন মঙ্গল গ্রহ থেকেও নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে আনার পরিকল্পনা করছে। ২০২৮ সালে একটি রোবট মিশন পাঠিয়ে ২০৩১ সালের মধ্যে নমুনা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য তাদের। অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সঙ্গে যৌথভাবে পরিকল্পিত ‘মার্স স্যাম্পল রিটার্ন মিশন’ বাতিলের ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রশাসনের দাবি, এই কাজ নভোচারী-চালিত মিশনের মাধ্যমেই সম্পন্ন করা সম্ভব।
ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি
নেপালে ২ দিনেই ২০ হাজার কোটি রুপির ক্ষতি