বাংলাদেশ থেকে কলকাতা যান চিকিৎসা সেবা নিতে। তবে সুস্থ হয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না সেলিম মেহমুদের। মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় এই বাংলাদেশির।
ভারতীয় রেল সূত্রে জানা গেছে, সেলিম মেহমুদ নামে ওই যাত্রীর বয়স ৬৫ বছর। কলকাতায় চিকিৎসা শেষে গতকাল বুধবার (৩ এপ্রিল) ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে মৈত্রী এক্সপ্রেসে চড়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার। সকালে মৈত্রী এক্সপ্রেসে চড়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সে কারণে মৈত্রী এক্সপ্রেস ছাড়তে দুই ঘণ্টা দেরিও হয়। কিন্তু তিনি আর বাঁচেননি। তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৭-১০ মিনিটে ট্রেনটি ছাড়া কথা ছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ট্রেনটি প্রায় ২ দেরি হয়ে যায়। ওই ব্যক্তি সঙ্গে ছিলেন তার আত্মীয় শাহনাজ পান্না। তিনি জানান, চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছিলেন সেলিম মেহমুদ। কিন্তু ট্রেনে উঠতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে নামিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, চিকিৎসা করাতে এসে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ বাংলাদেশি কলকাতায় মারা যান। তাদের মরদেহ দ্রুত দেশে নেওয়ার জন্য মিশন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
মিশনের অন্য এক কর্মকর্তা জানান, সেলিম মাহমুদের মরদেহ দেশে নেওয়ার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তার স্বজনেরা দ্রুত মরদেহ দেশে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
