প্রথমে রুপালি পর্দার জনপ্রিয় নায়িকা এবং বাংলার দিদি নম্বর ১ থেকে এখন হুগলির সাংসদে নতুন পরিচিতি পেয়েছেন রচনা ব্যানার্জি। গত বছরের ২৭ মে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হয়। সেই সংসদ ভবনেই অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। প্রথমবারের জন্য সংসদ সদস্য হয়েছেন রচনা ব্যানার্জি। তিনি হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত এমপি।
এর মধ্যেই লোকসভার অধিবেশন শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতেই রয়েছেন রচনা। সংসদে তার তৃতীয় দিন। রচনা ছাড়াও এ বছর যে অভিনেত্রীরা সংসদ সদস্য হয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম কঙ্গনা রানাওয়াত। যদিও রচনা জানালেন, কঙ্গনার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়নি। তবে দেখা যে হবে, তা নিয়ে তিনি আশাবাদী।
এর মাঝেই বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রচনার সঙ্গে এক ফ্রেমে বন্দী হলেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে রয়েছেন রাহুল। তৃতীয় দিনে রচনার সঙ্গে ছবি তুললেন তিনি। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী।
ভারতীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি নিজের একটি ছবি তুলছিলাম। তখন উনি নিজের থেকেই এসে বললেন আমি তোমার ছবি তুলে দিচ্ছি। আমার তো ভীষণ মাটির মানুষ মনে হল তাকে। ব্যক্তিগত স্তরে তাকে চিনি না, তবে মনে হল মানুষটি খুব ভালো।’
অভিনেত্রী বললেন, ‘শুধু ছবি তুললে হবে না। কাজটা করতে হবে। সংসদে কথা বলতে হবে। যাতে হুগলির সমস্যার সমাধান হয়। সাহায্য কতটা পাব, জানি না! কিন্তু আওয়াজ তুলতে হবে। সবে কাজ শুরু করেছি। প্রথমেই তো গোল মারা যায় না। একটু সময় নিয়ে দেখেবুঝে নিই সবটা।’
তবে নতুন এই সংসদ ভবনের রূপ দেখে মুগ্ধ রচনা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘পুরনো পার্লামেন্ট আমি দেখিনি। আর কখনও রাজনীতিতে আসব ভাবিনি। সবই ঈশ্বরের ইচ্ছে তাই আমি জিতে এখন এখানে। তবে নতুন সংসদ ভবনের সবটাই মুগ্ধ করার মতো। এমন সম্মাননীয় একটা জায়গা, ৫০০-এর বেশি সংসদ সদস্যের সঙ্গে সেখানে একসঙ্গে বসা, সেটাই বা কম কী।’
সাক্ষাৎকারের শেষের দিকে রচনা বলেন, ‘অধিবেশনের মাঝে বিরতি নিয়ে দিদি নম্বর ওয়ানের শুট করতে ফিরে যেতে হবে। ৩০ তারিখে আবার দিল্লি চলে আসব। আমার জন্য একটু কষ্টকর, কারণ দুটি দিক সামলাতে হবে। হয়তো অধিবেশনে কিছু অংশ আমার ‘মিস্’ হবে, কিন্তু কিছু করার নেই। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর জন্যই তো আজ সংসদে আসতে পেরেছি।’
