মিয়ানমারে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবারের (২৮ মার্চ) জোরালো ভূমিকম্পের পর থেকে এখনও মাঝে মধ্যে কম্পন (আফটারশক) হয়ে চলছে মিয়ানমারে। বুধবার রাতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে দেশটিতে।
সবশেষ বুধবার (২ এপ্রিল) রাতেও ৪.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তীব্র ভূমিকম্পের আঘাতে দেশটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ নিহতের সংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়েছে।
ভারতের ভূবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ সংস্থার (ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৮। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার গভীরে কম্পনটি অনুভূত হয়েছে। বুধবার বিকেলে ৪.৩ মাত্রার আরো একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে। এতে দেশটিতে ভূমিকম্পে সৃষ্ট পরিস্থিতি আরো উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
দেশটির জান্তা-বিরোধী পিপল্স ডিফেন্স ফোর্স আগেই ভূমিকম্প পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল। বুধবার মায়ানমারের জুন্টা সেনাও সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।
এর আগে, গত শুক্রবার সকালে প্রথমে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমার। তারপর থেকে পর পর ১৫ বার ভূকম্প-পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে। ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পড়েছে বহু ভবন, রাস্তা, সেতু। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ। নিখোঁজ রয়েছে আরও ৪ শতাধিক মানুষ।
বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক বসাল যুক্তরাষ্ট্র
মিয়ানমারে জান্তা সরকারের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা 