বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশে এখনও চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি অব্যাহত আছে। ক্ষমতায় না গিয়েও একটি গোষ্ঠী ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে এবং প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। তবে দেশে নতুন করে আর কোনো ফ্যাসিবাদকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দানে ৮ দলের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকেই একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ এখনো পুরোপুরি ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। যারা গাড়ি দিয়ে পালানোর সাহস হারিয়ে ফেলেছিল, তারাই সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবিকে অপকর্মে লাগানোর চেষ্টা করেছিল।’
২০ বছর আগে কেন জামায়াতে যোগ দিয়েছিলেন কৃষ্ণ নন্দী?বিগত সরকারের সমালোচনা করে জামায়াত আমির বলেন, ‘অতীতে তারা দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাটে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করেছে। দেশের টাকা লুট করে সিঙ্গাপুরে ব্যবসা ফেঁদেছে। শাপলা চত্বরে অসংখ্য আলেমকে হত্যা করে মিথ্যাচার করেছে। তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল, রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে।’
ইসলামি দলগুলোর ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত ৮ দলের ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে।’
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সারাদেশে বিশেষ দোয়াএর আগে সকাল থেকেই মিছিলে মিছিলে লালদীঘির ময়দানে সমবেত হতে থাকেন ৮ দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। দুপুর পৌনে ২টায় সমাবেশের মূল পর্ব শুরু হয়।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, জাগপার সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
