কয়েকদিন অপেক্ষার পর পরিবারের কাছে রোববার (২১ ডিসেম্বর) এসে পৌঁছালো সেনা সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের লাশ। হেলিকপ্টারের শব্দ শুনে জাহাঙ্গীরকে দেখতে আশপাশের হাজার হাজার মানুষের আগমন পরিবারে চলছে কান্নার রোল।
দুপুর ২টায় সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারে পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নিহত সেনা সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের লাশ নিয়ে আসা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে তার গ্ৰামের বাড়িতে এনে জানাজা শেষ করে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জাহাঙ্গীর আলম পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামের মো. হজরত আলীর দ্বিতীয় ছেলে। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেস ওয়েটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৭ নভেম্বর তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে যান। তার ব্যক্তিগত নম্বর সিএস-২২০১০৯। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক খুদে বার্তায় হতাহতের তথ্য জানায়।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুপম দাস। সুদানে হতাহত ১৪ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর পরিচয় মিলেছে তিনি জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছিলো, এর মধ্যে আজ ২১ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরের মরদেহ বাড়িতে পাঠানোর হয়েছে।
এসময় জাহাঙ্গীরের বাবা বলেন তিন ভাইয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীর ছিলেন মেঝ। স্ত্রী ও তিন বছর বয়সি একমাত্র ছেলে ইরফানকে রেখে দায়িত্ব আর স্বপ্ন নিয়ে জাহাঙ্গীর সুদানে গিয়েছিলেন।
জাহাঙ্গীরের ছোট দুই ভাই রয়েছে এর মধ্যে একজনের যদি সরকারি চাকরি ব্যবস্থা করা যেত অসুস্থ মা-বাবাকে নিয়ে পরিবার ভালো থাকতো।
আন্দোলনের মুখে রাবির ৬ ডিনের পদত্যাগ 