উগ্রজাতীয়তাবাদী মানসিকতার কারণে পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেয়ার পাশাপাশি ঢাকায় ‘আদিবাসী’ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা হয়েছে বলে মনে করে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে সংগঠনের নেতারা এমন কথা বলেছেন।
এতে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘১৯৭২ সালের সংবিধানে সবাইকে বাঙালি বানিয়ে দেয়াটা উগ্র জাতীয়তাবাদ। একইসাথে যে গ্রাফিতি আঁকা হয়েছিল, সেটা মুছে ফেলার যে চেষ্টাও উগ্র জাতীয়তাবাদ।’
অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার কমিটি বহুত্ববাদ ও সামাজিক ন্যায় বিচারের আলাপ তুলে ধরার পরেও আদিবাসীদের ওপর হামলা হয়েছে।’
এএলআরডির নির্বাহী প্রধান শামসুল হুদা বলেন, ‘যে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের হামলা করা হয়েছে, সেই সংবিধানে আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করা যাবে না এমন বিধান কোথাও নেই।’
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের নেতা গজেন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন হলেও এখনও আদিবাসীদের সাথে বৈষম্য হচ্ছে।’
ছাত্রনেতা অলিক মৃ বলেন, ‘যারা বহুবৈচিত্রকে ধ্বংস করতে চায়, তারাই প্রকৃত বিচ্ছিন্নতাবাদী।’
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক ড. খায়েরুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী দীপায়ন খীসা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের বজলুল রশীদ ফিরোজ, গণফোরামের এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ জাসদের করিম সিকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে ‘আদিবাসী’ ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ
আদিবাসী ইস্যুতে জয়ার প্রশ্ন, ‘আমাদের ঈমান ঠিক আছে তো?’
‘আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি