ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সেন্টমার্টিন ভ্রমণ বিধিনিষেধে কী অর্জিত হলো?

মানুষ বেশি গেলে জেলেরা প্রচুর কোরাল তুলে আনে ও পর্যটকদের কাছে সেগুলো বিক্রি করে। পর্যটক কম গেলে তো তারা আর আগের মতো কোরাল ধরবে না। সুতরাং এতে লাভটাই বেশি।

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৭ পিএম

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কয়েকমাস আগে পর্যটকদের যাতায়াত সীমিত করার মতো কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মাস (ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর) সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের। 

কিন্তু সরকার যেসব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ওই নিয়ম জারি করেছিল বাস্তবে তা অর্জন করা কতটা সম্ভব হয়েছে?

পর্যটকদের মূল অভিযোগ প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে। সেন্টমার্টিনের একটি রিসোর্টের মালিক আব্দুল্লাহিল মামুন নিলয় বলেন, এখানে সমস্যা হলো, বাধ্যবাধকতা নেইা। সরকার যদি বাধ্যতামূলকভাবে বলত যে, রিসোর্টগুলোর সামনে প্লাস্টিক থাকতে পারবে না, তাহলে ছোট রিসোর্টগুলোতেও একজন লোক রাখা হতো শুধু এই জিনিস পরিষ্কারের জন্য।

আইইউসিএন বাংলাদেশের মুখ্য গবেষক সীমান্ত দীপু বলেন, এখানে ডিক্ল্যারেশন আছে, কিন্তু মনিটরিং নেই, এটা সত্য। তবে সব দায়িত্ব সরকারের একারও না।

তার মতে, মানুষ কম গেলে প্লাস্টিকের ব্যবহার এমনিতেই কমে যাবে। সরকার যদি তার নজরদারি না-ও বাড়ায়, তবুও আস্তে আস্তে প্লাস্টিক কমবে।

পর্যটক কমে গেলে আর্থিক ক্ষতি হলেও পরিবেশের উপকার হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সেখানে মানুষ ও জাহাজ কম গেলে কচ্ছপ ও কোরালের প্রজনন ভাল হবে।

সেইসাথে, অতিথি পাখির সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়বে বলে জানান তিনি।

ইতোমধ্যে সেখানে এই কড়াকড়ির কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষ বেশি গেলে জেলেরা প্রচুর কোরাল তুলে আনে ও পর্যটকদের কাছে সেগুলো বিক্রি করে। পর্যটক কম গেলে তো তারা আর আগের মতো কোরাল ধরবে না। সুতরাং এতে লাভটাই বেশি।

তার মতে, দীর্ঘমেয়াদের পরিবর্তন বোঝার জন্য আরও কয়েক বছর যেতে দিতে হবে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমান বলেছেন, জানুয়ারিতেই বন্ধ করে দিলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে। তারা চার মাসের জায়গায় দুই মাস ব্যবসা করতে পারছে।

তিনি আরও বলেন, ঠিকভাবে তত্ত্বাবধায়ন করলে দুই মাস আর চার মাস চলার মাঝে খুব একটা ফারাক নেই।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একে আহসান উদ্দীনও ব্যবসায়ীদের দাবির কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি এও বলেছেন, এবার তারা প্লাস্টিকের ব্যবহার সীমিত করার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে ছিলেন।

আহসান উদ্দীন আরও জানান, এবার সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্যের কথা বিবেচনা করে কোনো নাইট পার্টি ছিল না। উচ্চস্বরে সাউন্ড বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা ছিল। ছেঁড়াদ্বীপে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করেছি আমরা। সূত্র: বিবিসি বাংলা

AHA
আরও পড়ুন