ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

উৎসাহী হয়ে আলু চাষ, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

উৎপাদন খরচ বাড়ানোর পাশাপাশি বাজারে আলুর মূল্য কম থাকায় অনেকেই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫১ এএম

চলতি মৌসুমে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে আলু চাষ। গত বছর আলুর দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকরা উৎসাহী হয়ে এবার অধিক পরিমাণ জমিতে আলু চাষ করেছেন। ফলনও বেশি হবে বলে আশা করছেন। তবে উৎপাদনের এই আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতির মধ্যেও কৃষকরা দাম নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। উৎপাদন খরচ বাড়ানোর পাশাপাশি বাজারে আলুর মূল্য কম থাকায় অনেকেই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

বাজার ঘুরে দেখা যায়- পাকরি, ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল আলু খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে।

কুসুম্বি গ্রামের কৃষক আমিনুল বলেন, এবার আমি ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি খরচ হবে ৭০ হাজার টাকার মত। গত বছর একই জমিতে খরচ হয়েছিল ৫০-৫৫ হাজার টাকার মত। সার, কীটনাশক ও জমির লিজ মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং বাজারে আলুর দাম কম থাকায় ক্ষতির আশঙ্কা করছি।

আরেক কৃষক শামিম বলেন, এবার আলু বীজে সংকটের কারণে বেশি দামে বীজ কিনেছি, সারের দামও বেশি। যদিও ফলন আশানুরূপ হয়েছে, তবুও লেট ব্লাইট রোগের কারণে খরচ বেড়েছে। কীটনাশক ব্যবহারের পরও এই রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

আলু ব্যবসায়ী জানান, এবার কৃষকের থেকে ডায়মন্ড আলু কিনছেন ২১ টাকা ৫৭ পয়সা কেজিতে। যা কৃষক স্টোর পর্যন্ত পোঁছে দেবে বলে জানান।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শেরপুরে চলতি বছর ২,৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ২,৭৬৫ হেক্টর জমিতে। পুরো বগুড়া জেলায় চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫,৫৫০ হেক্টর জমি। 

শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, কৃষকদের সতর্ক করতে নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আর উৎপাদন বাড়লে বাজরে সরবরাহ বেড়ে যায় ফলে দাম একটু কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সঠিক মূল্যে আলু বিক্রি করতে পারলে তারা লাভবান হতে পারবেন। 

AHA
আরও পড়ুন