ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সাতক্ষীরায় বিদ্যুতায়িত হয়ে পুলিশের মৃত্যু

‘সোহাগ বিদ্যুতায়িত হয়ে  আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিজেই হাসপাতালে ছুটে আসেন। তার শরীর ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।’

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম

সাতক্ষীরা সদর থানার কনস্টেবল সোহাগ আলী  বিদ্যুতায়িত  হয়ে পাঁচ দিন মত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন । শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে ঢাকা জাতীয় বার্ণ ইউনিট এর প্লাস্টিক সার্জারীর নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র  (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

কনস্টেবল সোহাগ আলী চুয়াডাঙা জেলা সদরের ঝিনাইদহ বাস স্ট্যান্ট পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য প্রয়াত মুক্তিযাদ্ধা নাসিরউদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়, সদর থানায় কমর্রত কনস্টেবল সোহাগ আলী সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত শহরের মধুমাল্লারডাঙিতে অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিল যাওয়ার জন্য থানা থেকে বের হয়ে যান। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত একটার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে থানায় ফোন করে জানানো হয় সোহাগ বিদ্যুতায়িত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিজেই হাসপাতালে ছুটে আসেন। তার শরীর ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। পরদিন তাকে ঢাকার জাতীয় বার্ণ ইউনিট ভর্তি করা হয়। তবে সোহাগ কথা বলতে না পারায় তার বিদ্যুতায়িত হওয়ার আসল কারণ জানা যায়নি।

যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন একটি ফাঁড়িতে কর্মরত কনস্টেবল মাসুদুর রহমান জানান, তার ভাই সাতক্ষীরা সদর থানার কনস্টেবল সোহাগ আলী বিদ্যুতায়িত হয়ে মঙ্গলবার ( ১৮ ফেব্রুয়ারি ) বিকাল ৬টা থেকে ঢাকা জাতীয় বার্ণ ইউনিট এর প্লাস্টিক সার্জারীর নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র  (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলো। শনিবার (২২ফেব্রুয়ারি ) রাতে  কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

সাতক্ষীরা সদর থানার ডিউটি অফিসার এসআই মহিদি জানান, শহরের খুলনা রোড মোড় এলাকা থেকে তিনি বিদ্যুতায়িত হন। প্রথমে তাকে সদর হাসপাতাল ও পরে  তাকে ঢাকার জাতীয় বার্ণ ইউনিট ভর্তি করা হয়। সেখান চিকিৎসাধীন অবস্থায়  তিনি শনিবার রাতে মারা যান।

AA
আরও পড়ুন