ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ধর্ষকের যে শাস্তির কথা বলছে ইসলাম

আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ১২:১৪ পিএম

ইসলাম একটি আদর্শ জীবন ব্যবস্থা বা পরিপূর্ণ জীবন বিধান। ইসলাম হলো এমন এক জীবনব্যবস্থা যা ব্যক্তির জীবনের সার্বিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। ইসলামের সৌন্দর্যের কথা বললে বলে শেষ করা যাবে না। ইসলামে নানা আইন ও বিচার ব্যবস্থার কথাও রয়েছে। জেনা বা ব্যভিচার বা ধর্ষণের বিষয়ে ইসলামে যে শাস্তির কথা বলা হয়েছে খবর সংযোগের পাঠকের জন্য তা তুলে ধরা হলো।

ইসলামে জেনা বা ব্যভিচার বা ধর্ষণকে নিকৃষ্ট কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। স্পষ্ট বলা হয়েছে, এ পাপের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে শাস্তি সুনিশ্চিত। ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী যদি বিবাহিত হয় তাহলে তাদেরকে আমৃত্যু পাথর নিক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর যদি তারা অবিবাহিত হয় তাহলে তাদেরকে ১০০ বেত্রাঘাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে, ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী- তাদের প্রত্যেককে ১০০ কশাঘাত করবে...।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২)। তবে এ শাস্তি কেবল ইসলামী রাষ্ট্রের সরকার ও প্রশাসন প্রয়োগ করতে পারবে। 

কোনো কারণে যদি এ শাস্তি আরোপিত না হয় তাহলে দুনিয়াতেই কোনো না কোনোভাবে এর শাস্তি এসে যাবে। এ বিষয়ে হাদিস শরিফে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যভিচারের মন্দ পরিণাম ছয়টি। তিনটি দুনিয়ায় আর তিনটি আখিরাতে। 

দুনিয়ার তিনটি হলো- 
১. চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হওয়া, ২. দরিদ্রতা ও ৩. অকালমৃত্যু। 
আখিরাতের তিনটি হলো- 
১. আল্লাহর অসন্তুষ্টি, ২. হিসাব-নিকাশের কঠোরতা ও ৩. জাহান্নামের কঠিন শাস্তি। (ইসলামের দৃষ্টিতে অপরাধ, ই. ফা. পৃ. ১০৯)

ইসলামে ধর্ষকের শাস্তি
ধর্ষক যখন ধর্ষণ করে তখন এক পক্ষ থেকে ব্যভিচার সংঘটিত হয় এবং অন্য পক্ষ হয় মজলুম বা নির্যাতিত। এ ক্ষেত্রে মজলুমের কোনো দোষ না থাকায় তার শাস্তি নেই। শুধু জালিম বা ধর্ষকের শাস্তি কার্যকর করা হবে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে ৩টি বিষয় সংঘটিত হয়। এক. ব্যভিচার। দুই. বল প্রয়োগ। তিন. সম্ভ্রম লুণ্ঠন।

ইসলামে ব্যভিচারের মতো ধর্ষণের ক্ষেত্রেও একই শাস্তি প্রযোজ্য হবে বলে ইমাম হানাফি, শাফেয়ি ও হাম্বলি (র.) মত দিয়েছেন। তবে ধর্ষণের সঙ্গে যদি হত্যাজনিত অপরাধ যুক্ত হয়, তাহলে ঘাতকের একমাত্র শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।

SN
আরও পড়ুন