জনগণকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘জনগণ রাজপথে নেমে আসায় একজন মাফিয়া স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়ানো সম্ভব হয়েছে। তাই এখন জনগণকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা করা উচিত।’ নাগরিক অধিকার নিশ্চিতে সব রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।
রোববার (২৩ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনের ফারস হোটেলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘জনগণ রাজপথে নেমে আসায় একজন মাফিয়া স্বৈরাচারকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে। আমরা এখন কথা বলছি আমাদের সংস্কার কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে। আমরা কে কোথায় কতদিন দায়িত্ব পালন করবো, তা নিয়ে আলোচনা করছি।’
‘কিন্তু আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় বিষয় হলো জনগণ, জনগণকে নিয়ে কি আমাদের কথা বলা উচিত নয়? স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কীভাবে উন্নত করা যায় তা নিয়ে কথা বলা, অ্যাম্বুলেন্স কীভাবে ১০ মিনিটে বাসায় পৌঁছাবে তা নিয়ে কথা বলা- এরকম জনগণের আরও অনেক প্রত্যাশা রয়েছে, সেসব বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে হবে।’
সংস্কার বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দেশের রাজনৈতিক অধিকার, ভোটের অধিকার সবকিছুকে সামনে রেখে একসঙ্গে রাজপথে আন্দোলন করেছি। রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের বিষয়ে সবচেয়ে আগে আমরা কথা বলেছিলাম। আমরা ৩১ দফায় সেসব বিষয়গুলো বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠান স্বৈরশাসক ধ্বংস করে দিয়েছিল। সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করা হয়েছিল নির্বাচন ব্যবস্থাকে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের মেরামত করতে হবে। তা নাহলে মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশকে এগিয়ে নিতে পারবো না।’
এছাড়া জনগণের প্রত্যাশা পূরণে রাজনৈতিক দলগুলো কী করবে তা নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানান তারেক রহমান।
নির্বাচন ও সংস্কারকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে: তারেক রহমান
ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচিত হবে: তারেক রহমান