ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আশাশুনির বিছটে জোয়ারের পানি ওঠা বন্ধ, মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৮ পিএম

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ার বিছটে ৬ষ্ঠ দিনে জোয়ারের পানি ওঠা বন্ধ হলেও এটাকে অস্থায়ী বাঁধ হিসেবে উল্লেখ করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী টেকসই বেড়িবাঁধ দাবি জানিয়েছেন।

অস্থায়ী এ রিং বাঁধ বড় জোয়ারে টিকে থাকবে কিনা উৎকণ্ঠার সঙ্গে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভেঙে আবারও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কার কথা বলেছেন। যদিও ভরা জোয়ারেও যাতে প্লাবিত হতে না পারে সেজন্য রিং বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধির কাজ চলছে উল্লেখ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের কাজ দ্রুত করা হবে।

ঈদের দিন সকালে খোলপেটুয়া নদীর পানির তোড়ে ১৫০শ’ ফুট বেড়িবাঁধ ভাঙনের পর সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বিছট এলাকায় পানি প্রবেশ করে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মৎস্য ঘেরগুলো একেএকে ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ায় কারোরই রান্নার চুলা জ্বলেনি। নৌবাহিনীসহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তবে এলাকাবাসীর দাবি টেকসই বেড়িবাঁধ। বিশেষ করে ভাঙন থেকে আধা কিলোমিটারের মধ্যে কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে আবারও প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনকালে দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড তিন দিনের মধ্যে ভাঙনকবলিত এলাকায় জোয়ারের পানি ওঠা বন্ধ করেছে উল্লেখ করে বাঁধ নির্মাণে সহযোগিতায় এগিয়ে আসা সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড ও জেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় লোকজনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

MMS
আরও পড়ুন