বলিউডের তারকারা যে কেবল রুপালি পর্দার ঝলকেই সীমাবদ্ধ তা নয়। তাদের অনেকে বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমেও বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। ঠিক তেমনি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ও এর ব্যতিক্রম নন।
ভারতের সর্বোচ্চ আয়করদাতাদের তালিকায় রয়েছেন শিল্পা শেঠি। কিন্তু অভিনয়ই তার একমাত্র আয়ের উৎস নয়। প্রায় সবাই কোনো না কোনো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ছবি প্রযোজনা ছাড়াও কেউ খোলেন রেস্তোরাঁ, আবার কেউ পোশাক কিংবা প্রসাধনী সংস্থা। একেকজন তারকার একেক রকম ব্যবসা।
এবার শিল্পা শেঠি জানালেন কোন অদ্ভুত উপায়ে কোটিপতি হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি খোলাসা করেছেন তার এই বিশেষ উদ্যোগের কথা।

প্রায় আট বছর আগের কথা। শিল্পাকে ডাকা হয়েছিল একটি প্রসাধনী সংস্থার বিপণন-মুখ হিসাবে কাজ করার জন্য। কিন্তু এমনই দুর্ভাগ্য, অভিনেত্রীর পারিশ্রমিকটুকু দেওয়ার মতো ক্ষমতাও ছিল না ওই ত্বক পরিচর্যা পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থার। মূলত শিশুর জন্যই নানা পণ্য তৈরি করত মাত্র ৩৫ কোটির সংস্থাটি।
শিল্পা বলেন, ‘ওরা আমার কাছে এসেছিল। আমার ভালো লেগেছিল। কিন্তু একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ করার মতো সামর্থ্য ওই সংস্থার ছিল না। তখন আমিই ওদের প্রস্তাব দেই অংশীদার হওয়ার।’
শিল্পার দাবি, বিনিয়োগ করেই তিনি বিত্তবান হয়ে উঠেছেন। গত আট বছরে ওই সংস্থা ‘ইউনিকর্ন’ (১০০ কোটি মূল্য) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ২০১৮ সালে শিল্পা মাত্র ৬.৭ কোটি বিনিয়োগ করে ঘরে তুলেছিলেন ১৬ লক্ষ শেয়ার। ২০২৩ সালে শিল্পার সেই বিনিয়োগ মূল্য দাঁড়ায় ৩৯ কোটিতে।
২০২৩ সালে শিল্পার সেই বিনিয়োগ মূল্য গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯ কোটি টাকায়। সে বছর শিল্পা ওই সংস্থার ১৩.৯৩ লাখ শেয়ার বিক্রি করে দেন। তাতে তার লাভ হয় প্রায় ৪৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
একটি সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল ওই সংস্থাটির শেয়ারের বাজারমূল্য ২৩৬ টাকা। এখনো শিল্পা ওই সংস্থার ২.৩ লাখ শেয়ারের মালিক। সেই হিসাবে ওই সংস্থায় অভিনেত্রীর বিনিয়োগ মূল্য প্রায় ৫ কোটি ৪২ লাখ কোটি টাকা।
শিল্পা বলেন, এমন কোনো সংস্থার বিপণন মুখ হতে চান না, যা তার ভাবনাচিন্তার বিপক্ষে যায়। যেমন কোনো মিষ্টি পানীয় কিংবা পানমশলার বিজ্ঞাপন তিনি কোনো দিন করবেন না।
তিনি বলেন, এ ধরনের সংস্থাগুলো এত টাকার প্রলোভন দেখায় যে, কখনো মনে হয়, সত্যিই এত টাকা ছাড়া যায় না। কিন্তু কোনোভাবেই নিজের সততার সঙ্গে আপস করা যায় না। আমি সবসময় নিজের মূল্যবোধটুকু আঁকড়ে রাখতে চাই।
