ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ফোল্ডেবল ফোন কেনার আগে যা জানা জরুরি

আপডেট : ২১ মে ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম

ফোল্ডেবল ফোন এখন স্মার্টফোন দুনিয়ার এক নতুন ধারা। বড় স্ক্রিনের অভিজ্ঞতা ও কমপ্যাক্ট ডিজাইন একসাথে পাওয়ার সুবিধা থাকলেও, এমন ফোন কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে রাখা দরকার।

প্রথমেই ভাবতে হবে, আপনি ফোল্ডেবল ফোন কেন কিনছেন? শখের জন্য, নাকি কাজে লাগবে বলে? যারা মাল্টিটাস্কিং করে—যেমন অফিসের কাজ, ট্রেডিং, ভিডিও এডিটিং বা প্রেজেন্টেশন তৈরি করেন, তাদের জন্য ফোল্ডেবল ফোন দারুণ উপযোগী। বড় স্ক্রিনে একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ চালানো অনেক সহজ হয়।

আর যারা শুধুমাত্র স্টাইল বা ফ্যাশনের জন্য ফোন কিনতে চান, তাদের জন্য ফ্লিপ ফোন ভালো পছন্দ হতে পারে। এগুলোর ডিজাইন আকর্ষণীয় এবং সহজে ভিডিও বা সেলফি তোলা যায়। তবে এগুলো মূলত শখের জিনিস, কাজের জন্য সবসময় উপযোগী নয়।

ফোল্ডেবল ফোন ভেঙে গেলে মেরামতের খরচ সাধারণ ফোনের চেয়ে অনেক বেশি। স্ক্রিন নষ্ট হলে সেটি পাল্টাতে ফোনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেক দাম পর্যন্ত লাগতে পারে। কারণ এর যন্ত্রাংশ বিশেষ ধরনের, এবং শুধুমাত্র অফিসিয়াল সার্ভিস সেন্টারেই এগুলো ঠিক করা যায়। তাই ফোন কেনার সময় থেকেই মেরামতের জন্য আলাদা বাজেট ভাবা ভালো।

সব অ্যাপ এখনো ফোল্ডেবল স্ক্রিনে ঠিকভাবে চলে না। ভাঁজ খুলে বড় স্ক্রিনে ভিডিও দেখলে ওপর-নিচে কালো বর্ডার দেখা যায়, আর জুম করলেও ভিডিওর কিছু অংশ কেটে যায়। যদিও গুগল ডেভেলপারদের এই সমস্যাগুলো ঠিক করতে উৎসাহ দিচ্ছে, তবুও এখনো অনেক অ্যাপ সঠিকভাবে অপটিমাইজড নয়।

বুক-স্টাইল ফোল্ডেবল ফোন সাধারণত মোটা ও ভারী হয়। যারা এক হাতে ফোন ব্যবহার করেন বা পকেটে রাখতে চান, তাদের জন্য এগুলো কিছুটা অসুবিধাজনক। কেস ব্যবহার করলে ওজন ও পুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।

ব্যাটারিও বড় সমস্যা। ফোন ভাঁজযোগ্য হওয়ায় ভেতরের যন্ত্রাংশ বেশি জায়গা নেয়, ফলে বড় ব্যাটারি ব্যবহার করা যায় না। এতে চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। ভবিষ্যতে সিলিকন-কার্বন ব্যাটারি প্রযুক্তি দিয়ে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে আশা করা যায়।

AA/AHA
আরও পড়ুন